Friday, 8 July 2016

জগন্নাথ

⛄ভগবান হলেও সে যে জগন্নাথ⛄মানুষ আসলে ইশ্বর ঈশ্বরের সৃষ্টি কারি । মানুষের মনের চেতনাই ঈশ্বর । লোক কথাও তাই বলে।.পুরাণ মতে, সূর্য বংশের রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন বিষ্ণুরদর্শন পেতে উদগ্রীব হলে এক সন্ন্যাসী তাকে নীলমাধব নামে এক দেবতার কথা বলেছিলেন । রাজার পুরোহিত বিদ্যাপতি শেষ পর্যন্ত বিশ্বাবসু নামে এক শবরের কাছে এসে সেই বিগ্রহের খবর পান । কিন্তু নীলমাধবকে দেখাতে বিশ্বাবসু রাজী ছিলেন না ।.তবে বিশ্বাবসুর কন্যা ললিতা বিদ্যাপতির প্রেমে মুগ্ধ হয়ে তাকে বিয়ে করতে চাইলে বিশ্বাবসু রাজী হন । ললিতার অনুরোধে শেষ পর্যন্ত বিদ্যাপতির চোখ বেঁধে তিনি একদিন জঙ্গলের মধ্যে নীলমাধবের সামনে নিয়ে যান । কিন্তু পুরা-কথামতে,নীলমাধবের মূর্তি যিনি দর্শন করবেন, যম তাকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। বিদ্যাপতির কাছ থেকে খবর পেয়ে অবন্তীরাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন সৈন্য-সামন্ত নিয়ে মূর্তি দর্শন করতে আসতে চাইলে বিগ্রহটি অর্ন্তহিত হয়ে যায় ।.ইন্দ্রদ্যুম্নদুঃখে আত্মহত্যাকরতে গেলে আকাশবাণীতে তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়, বিষ্ণুর দারুব্রহ্ম মূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে । বাঙ্কিমুহান নামে সমুদ্রের উপরে একটি জায়গায় স্বপ্নাদেশে তিনি সেই কাঠের সন্ধান পান । অনেকে ব্যর্থ হওয়ার পর মূর্তি তৈরি করতে আসে অনন্ত মহারাণা নামে এক বৃদ্ধ । ২১ দিন ধরে মন্দিরের দরজা বন্ধ রেখে জগন্নাথের কলেবরবা দেহ তৈরি করবেন বলে কথা দেন । তিনি বলেছিলেন,এর মধ্যে যেন দরজা না খোলা হয় ।.কিন্তু ১৫ দিন পড়ে উদগ্রীব রাজা দরজা খুলে ফেলে দেখেন,বৃদ্ধ নেই । মূর্তিগুলোও অসম্পুর্ণ । তাঁদের হাত-পা প্রকট নয় । আঙুল দেখা যায় না । সেই রুপেই জগন্নাথদেব পতিতপাবন হয়ে এই মন্দিরে বিরাজ করেন ।অর্থাত্ দেখা গেলো মানুষের ধ্যর্য কমতারা, জানা সম্পূর্ণ হলেই তারা নিজের মধ্যেই ঈশ্বরকে পেয়ে যেত ___

Thursday, 7 July 2016

ইদ

সূর্য ছুটি নাই বলে,কামাই করছে আজ। অবিরাম বৃষ্টির কথা শুনতে শুনতে , মুগ্ধতার তৃপ্তিতে চোখে কে যেন সাজিয়ে দিয়েছে রূপোলী ধারার অজনা রূপকথা । আজ তবু প্রতিবেশীর রাজপথে আজ রক্ত দাগ। ধর্মীয় উশকানীতে অবরুদ্ধথাকুক যত তোমাদের কান। আজান কিংবা মন্দিরের ঘন্টার চেয়ে , বৃষ্টির অবোধ্য স্বরলিপির অরন্যের গান আমার প্রিয় । বর্ষণসিক্ত প্রভাতে মুছে যাবে তোমাদের জয়ের উল্লাস । বৃষ্টি প্রথম স্পর্শে তোমাকে বলবো
ইদ মুবারক