বর্ষা
মেঘে মেঘে বর্ষা নেমেছে মেঘনাদ
গম্ভীরে টলমল সজল আকাশমেঘে মেঘে বর্ষা নেমেছে
গম্ভীরে টলমল সজল আকাশচোখ
বৃষ্টি এল
রাস্তার ধুলো ভিজে গেছে
বাড়িঘর গাছপালা সব পথঘাট ভিজে গেছে
এখন আকাশটা রক্তশূন্য
মেঘে মেঘে বর্ষা নেমেছে মেঘনাদ
গম্ভীরে টলমল সজল আকাশমেঘে মেঘে বর্ষা নেমেছে
গম্ভীরে টলমল সজল আকাশচোখ
বৃষ্টি এল
রাস্তার ধুলো ভিজে গেছে
বাড়িঘর গাছপালা সব পথঘাট ভিজে গেছে
এখন আকাশটা রক্তশূন্য
১) ব্রেস্ট আয়রনিং- নামের মধ্যেই লুকিয়ে যন্ত্রণা। ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বেশকিছু সম্প্রদায়ের মধ্যে মেয়েদের সঙ্গে এটাই করা হয়। পাথর, হাতুড়ি বা খুন্তি গরম কয়লার উপর রেখে তারপর সেটাই চেপে ধরা হয় বয়ঃসন্ধিকালের কোনও মেয়ের স্তনের উপর। কারণ এর ফলে ব্রেস্ট টিস্যুগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে কোনও মহিলার স্তন যদি আর বৃদ্ধি না পায়, তাহলেই দেশে ধর্ষণের সংখ্যা কমবে। আর এই জঘন্য কাজটা করে থাকে মেয়ের বাবা-মায়েরাই।
২) বিটিং সেসন- ব্রাজিল সহ আরও কয়েকটি দেশে কোনও মহিলাকে প্রকাশ্য রাস্তায় নগ্ন করে মারা হয়। মার চলতেই থাকে যতক্ষণ না সেই মহিলাটি জ্ঞান হারাচ্ছে বা মারা যাচ্ছে। যদি সেই মহিলাটির অজ্ঞান অবস্থা থেকে আবার জ্ঞান ফিরে আসে, তাহলে তাকে বিয়ের জন্য উপযুক্ত ধরা হয়।
৩) মুসলমানি- সোমালিয়া ও মিশরে এখনও এই রীতি প্রচলিত। মেয়েদের সতীত্ব ধরে রাখার জন্য ছোট বয়সেই জোর করে এটি করা হয়। এমনকী তাদের অজ্ঞানও করা হয় না।
৪) টুথ চিজেলিং- সুমাত্রার মেনতাওয়াই উপজাতির মানুষ বিশ্বাস করে তীক্ষ্ণ দাঁতযুক্ত মহিলারা অনেক বেশি আকর্ষণীয় ও তাঁদের শরীরের সঙ্গে আত্মার যোগ বেশি। সেই কারণে মেয়েরা একটু বড় হওয়ার পর জোর করে তাদের দাঁত ঘষে দেওয়া হয়। ধারালো ব্লেড দিয়ে যখন এই কাজটি করা হয়, তখন তাদের অজ্ঞান করা হয় না।
৫) জোর করে ট্যাটু- প্যারাগুয়ে ও ব্রাজিলের কিছু সম্প্রদায়ের মধ্যে জোর করে মহিলাদের সারা গায়ে ট্যাটু করে দেওয়া হয়। যার মধ্যে পাকস্থলী, স্তন ও পিঠে ট্যাটু করানো বাধ্যতামূলক।
৬) পাত্রী অপহরণ- রোমানিয়াতে কোনও মেয়েকে যদি কোনও পুরুষ অপহরণ করে ৪-৫ দিন নিজের কাছে রেখে দিতে পারে, তাহলেই সেই মেয়ে তার। তাকে বিয়ে থেকে যথেচ্ছভাবে 'ভোগ করার অধিকার' পেয়ে যাবে ওই পুরুষ।
৭) জোর করে খাওয়ানো- মরিশানিয়েতে বিশ্বাস করা হয় বউ যত বেশি মোটা হবে ততই ভাগ্য খুলবে। সমৃদ্ধি আসবে। আর সেই কারণে সেদেশের তরুণীদের জোর করে খাওয়ানো হয়। দিনে প্রায় ১৬০০০ ক্যালোরি খেতে বাধ্য করা হয়। যাতে তাদের জন্য ভালো বর পাওয়া যায়।
8) কান্নার বিয়ে- দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের সিচুয়ান প্রভিন্সে এক অদ্ভুত রীতির চল রয়েছে। তুজিয়া সম্প্রদায়ের এই রীতিকে বলা হয় জুয়ো ট্যাং। এই রীতি অনুসারে প্রত্যেক অবিবাহিত মেয়েকে বিয়ের আগের একমাস প্রতিদিন রাতে নিয়ম করে কাঁদতেই হবে। আর যদি কেউ কাঁদতে না পারে, তবে তাঁকে তাঁর মা মারধর করবে। যাতে সে বাধ্য হয় কাঁদতে।
সত্যিই বদলে গিয়েছে সমাজটা। বড্ড বদলে গিয়েছে। চারপাশে সারাদিন শুধু যৌনতার পরশ! উত্তুরে হাওয়ার দেখা মিলল কী মিলল না কে জানে? কিন্তু এ শহরের রাস্তায় একবার বেরিয়ে পড়লে, যৌনতার সুড়সুড়িতে আপনার শরীরে কিঞ্চিত শিহরণ উঠবেই। মেয়েরা আজকাল আর সুন্দরী হতে চায় না বোধহয়। তাঁদের 'সেক্সি' বা 'হট' হতে হবে। অথবা ওর সেই একই আছে। আমরাই (পুরুষরা) আমাদের চাহিদা অনুযায়ী ওদের গড়ে নিচ্ছি প্রতিনিয়ত। সাধারণত, সিনেমাই আমাদের দেশের, আমাদের সমাজের ফ্যাশন ঠিক করে দেয়। অমুক সিনেমায় তমুক নায়িকা ওটা পরেছিল, তাই তো আমাকেও পরতে হবে। অথবা অমুক টেলিভিশন সিরিয়ালের তমুক অভিনেত্রী ওই পোশাকটা পরেছিলেন। তাই আমাকেও পরতে হবে। একই পুরুষদের ক্ষেত্রেও। শাহরুখ, সলমন, বরুণ ধাওয়ানরা যা পরেন, সেটাই নকল করে আম-সাধারণ। আর সেই সুযোগটাই নেয় পুরুষরা। পোশাকএমনভাবেই তৈরি হয়, যা শুধু সুন্দরী করে তোলে না নারীকে। করে তোলে 'হট' বা 'সেক্সি' জাতীয় কিছু।
কিন্তু সিনেমার নায়িকারা যে পরিবেশ, পরিস্থিতিতে চলেন ফেরেন, আমার, আপনার ঘরের মেয়েরা আর সেই পরিবেশ পরিস্থিতি পায় কোথায়! করিনা কাপুর যে পোশাক পরে যাদের মাঝে হাঁটেন, মালদার কাকলি বা নদীয়ার সঙ্গীতা তো সেই পোশাক পরার পর ওই পরিবেশ বা পরিস্থিতিটা পায় না। তাই সমাজে মহিষাদলের খবর রোজই পাওয়া যায়। কামদুনির খবর পাওয়া যায়। এগুলো পুরনো হয়ে গেলে ফের নতুন কোনও খবর। না, ডিমান্ড আপনার এই খবরের যতই থাকুক, সাপ্লাই লাইন রেডি! এই সব বিষয়ে কথা বলতে গেলে অনেক নেতামন্ত্রীদের বা সমাজের নানা স্তরের বিশিষ্টরা প্রায়ই বলেন একটা কথা। মেয়েদের ছোট পোশাকই নাকি সব সমস্যার মূল। যেভাবে আমিও শুরুতে বলেছি কথাগুলো। মেয়েরা ছোট পোশাক পরে, না উত্সাহিত করলে পুরুষ তো ভেজা বিড়াল। না, না, মাছ উল্টে খাওয়া তো দূরের কথা, শুঁকেও দেখবে না। পাহাড়া দেবে! তাই ঢুকে পড়ি মূল প্রসঙ্গে। বলতে চাইছি যেটা-
এই যে সারাদিন শহরের মেয়েরা রাস্তার বেরিয়ে পড়ে, বারবার বিরাট বড় বড় হোর্ডিংগুলো দেখছে, ওরা কোথায় বলল যে, পুরুষের এই ছোট পোশাকই মেয়েদের উত্সাহিত করছে? মেয়েরা কামদুনির রাস্তায় কটা ছাত্রকে ফেরার পথে তৈরি হওয়া কারখানায় নিয়ে চলে গেল! মহিষাদলে কটা ছাত্র মেয়েদের লালসার শিকার হল? অদ্ভূত নিয়ম যে! মেয়েদের বেলায় পোশাকই যত নষ্টের মূল। আর ছেলেদের বেলায় পোশাক? সেটা কী? খায় না মাথায় দেয়! লজ্জা তো নারীর ভূষণ। পুরুষের ভূষণ তো নির্লজ্জ হওয়া! ভালো সমাজ। ভালো। ঠিক পথে যাচ্ছো এগিয়ে। সবে তো কোমরের সামান্য নিচেই পোশাক নামিয়েছো। নগ্ন হতে এখনও অনেক বাকি! আসলে ওদের কে বোঝাবে - 'হতভাগা', লজ্জা শরীরে হয় না। লজ্জা হয় মনে। অন্তর্বাস নামাতে নামাতে মন বড় 'নিচ'-এ নেমে গিয়েছে। এত 'নিচ' থেকে আর ওঠা সম্ভব নয়। তাই, দে গালাগাল নারীর পোশাক নিয়ে।
No comments:
Post a Comment