আজ সিঙ্গুরে মঞ্চের কাছের ভিড়ের দমবন্ধ পরিবেশ থেকে একটু হালকা হতে আমি, Amalendu Sarkar, আর Sriman Chakraborty
উল্টোদিকে হাঁটা শুরু করেছিলাম, কাতারে কাতারে লোক, তাদের উল্টোমুখে।
আমাদের মতো অনেকেই তাই। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে খানিকটা যেতে একজায়গায়
দেখলাম, টাটাদের পাঁচিলের ভাঙা অংশ দিয়ে পিল পিল করে লোক ঢুকে পড়ছে ওই
হাজার একর জমিতে। আমরাও ঢুকে পড়লাম। :D
ঘুরে দেখলাম -- বাতিল কারখানা। কারখানার শেড। বছর দশেক আগেও যে চাষজমি ছিল এগুলো, না বলে দিলে কেউ বুঝবে না। আগাছা। আর কাশ ফুল। জলাশয়। দুটো তিনটে বুলডোজার আগাছা তুলছে। আর বুলডোজারগুলোকে তাড়া করেছে বকের দল। গত আট বছর প্রায় মনুষ্য বর্জিত এলাকা। প্রায়, কারণ গরু ছাগল চড়াতে আসত কেউ কেউ। এখনও আসছে।
কাটোয়া, গুড়াপ, বর্ধমান, অম্বিকা কালনা -- সব জায়গার থেকে চাষিরা যারা এসেছে সিঙ্গুর সমাবেশে, তাদের মূল আকর্ষণ এই টাটার পাঁচিলের ভেতরের জমিটা। কারখানার শেড। "এখানে আর চাষ করা সম্ভব" কি না। এমনকি "আহারে কারখানাটা" বলার লোকও কিছু। সবাই চাষি। একজন বলল, 'এখানে শিল্পও করা যেত, টাটার বদলে অন্য কাউকে দিত'। আর একজন বলল, 'দিদি বলুক, সারা বাংলা থেকে ১০০ দিনের কাজের লোক এনে এই জায়গা আগের মতো করে দিক।'
মঞ্চের কাছাকাছি এলাকায় তেল চুকচুকে প্রমোটার মার্কা চেহারার লোকের ভিড়ভাট্টা দেখে খারাপ লাগছিল। দম আটকে আসছিল। মন ভরে গেল পাঁচিল টপকাতে পেরে। আর এখানেও এত লোক দেখে। দুপুর গড়িয়ে গেল। লোক আরও বেড়ে গেল পাঁচিলের মধ্যে। বৃষ্টি এল। কয়েক কিলোমিটার দূরে মঞ্চে মমতার ভাষণ শুরু হল, বোঝা গেল। কিন্তু কথা শোনা যাচ্ছিল না। এখানে অবশ্য অন্য আকর্ষণ। অতি উৎসাহী কেউ কেউ টাটার কারখানার শেড-এ ইঁটও মারছিল, আর চরাচর কাঁপিয়ে শব্দ তার।
ন'বছর আগে আমাদের চোখের সামনে পাঁচিল না দেওয়া একটা জায়গা পাঁচিল দেওয়া নিষিদ্ধ এলাকা হয়ে গিয়েছিল। কাগজ, ম্যাগাজিন, প্যাম্পলেট-এর এম্পিরিক্যাল কাজ করার সময় নিজের অনুভূতি জানানোর জায়গা বড়ো একটা থাকে না। এলাকার ক্ষেতমজুর কী বলল, ভাগ চাষি কী বলল, প্রান্তিক চাষি কী বলল, মধ্য চাষি কী বলল, মা কী বলল, ছেলে কী বলল, মেয়ে কী বলল, ঘোষ কী বলল, দাস কী বলল, রুইদাস কী বলল, মালিক কী বলল, মৈতি কী বলল -- সে সব কথা লিখেছি তখন। ঠিক করেছি। করাই দরকার।
ন'বছর আগে আমার খুবই খারাপ লেগেছিল টাটার পাঁচিল উঠে যাওয়ায়। কেউ বাধা না দেওয়ায়। কারণ অনেক আছে, কারণের কথা থাক।
আজ সেই পাঁচিলের ভেতর অবাধে দলে দলে ঘুরে বেড়াতে পেরে, টাটার কারখানার বাতিল শেড আর লন দেখে মারাত্মক ভালো লেগেছে।
সাআলা!
ঘুরে দেখলাম -- বাতিল কারখানা। কারখানার শেড। বছর দশেক আগেও যে চাষজমি ছিল এগুলো, না বলে দিলে কেউ বুঝবে না। আগাছা। আর কাশ ফুল। জলাশয়। দুটো তিনটে বুলডোজার আগাছা তুলছে। আর বুলডোজারগুলোকে তাড়া করেছে বকের দল। গত আট বছর প্রায় মনুষ্য বর্জিত এলাকা। প্রায়, কারণ গরু ছাগল চড়াতে আসত কেউ কেউ। এখনও আসছে।
কাটোয়া, গুড়াপ, বর্ধমান, অম্বিকা কালনা -- সব জায়গার থেকে চাষিরা যারা এসেছে সিঙ্গুর সমাবেশে, তাদের মূল আকর্ষণ এই টাটার পাঁচিলের ভেতরের জমিটা। কারখানার শেড। "এখানে আর চাষ করা সম্ভব" কি না। এমনকি "আহারে কারখানাটা" বলার লোকও কিছু। সবাই চাষি। একজন বলল, 'এখানে শিল্পও করা যেত, টাটার বদলে অন্য কাউকে দিত'। আর একজন বলল, 'দিদি বলুক, সারা বাংলা থেকে ১০০ দিনের কাজের লোক এনে এই জায়গা আগের মতো করে দিক।'
মঞ্চের কাছাকাছি এলাকায় তেল চুকচুকে প্রমোটার মার্কা চেহারার লোকের ভিড়ভাট্টা দেখে খারাপ লাগছিল। দম আটকে আসছিল। মন ভরে গেল পাঁচিল টপকাতে পেরে। আর এখানেও এত লোক দেখে। দুপুর গড়িয়ে গেল। লোক আরও বেড়ে গেল পাঁচিলের মধ্যে। বৃষ্টি এল। কয়েক কিলোমিটার দূরে মঞ্চে মমতার ভাষণ শুরু হল, বোঝা গেল। কিন্তু কথা শোনা যাচ্ছিল না। এখানে অবশ্য অন্য আকর্ষণ। অতি উৎসাহী কেউ কেউ টাটার কারখানার শেড-এ ইঁটও মারছিল, আর চরাচর কাঁপিয়ে শব্দ তার।
ন'বছর আগে আমাদের চোখের সামনে পাঁচিল না দেওয়া একটা জায়গা পাঁচিল দেওয়া নিষিদ্ধ এলাকা হয়ে গিয়েছিল। কাগজ, ম্যাগাজিন, প্যাম্পলেট-এর এম্পিরিক্যাল কাজ করার সময় নিজের অনুভূতি জানানোর জায়গা বড়ো একটা থাকে না। এলাকার ক্ষেতমজুর কী বলল, ভাগ চাষি কী বলল, প্রান্তিক চাষি কী বলল, মধ্য চাষি কী বলল, মা কী বলল, ছেলে কী বলল, মেয়ে কী বলল, ঘোষ কী বলল, দাস কী বলল, রুইদাস কী বলল, মালিক কী বলল, মৈতি কী বলল -- সে সব কথা লিখেছি তখন। ঠিক করেছি। করাই দরকার।
ন'বছর আগে আমার খুবই খারাপ লেগেছিল টাটার পাঁচিল উঠে যাওয়ায়। কেউ বাধা না দেওয়ায়। কারণ অনেক আছে, কারণের কথা থাক।
আজ সেই পাঁচিলের ভেতর অবাধে দলে দলে ঘুরে বেড়াতে পেরে, টাটার কারখানার বাতিল শেড আর লন দেখে মারাত্মক ভালো লেগেছে।
সাআলা!