একদম খাঁটি কথা। পেপার মানির থাকার মধ্যে অনেক রকম অনর্থ রয়েছে। সবচেয়ে বড়ো অনর্থটি হলো, আমি বাড়িতে পেপার মানি রেখে দিতে পারি। অলসভাবে সে যদি পড়ে থাকে, তবে তার চেয়ে অনর্থ আর কিছু হয় না। না সে মূল্যসূচকের সঙ্গে তাল রাখতে পারছে। না সে খাটছে। না সে ছুটছে। সে কেবল আছে। কিন্তু শুধু থাকা তো তার কাজ নয়। যেমন, বাড়ির কাজের লোক। বাড়িতে কাজের লোক থাকার কোনো মানে নেই, যদি সে কাজ না করে। তেমনি মানি যদি না খাটে, না ছোটে, তবে সে মানি-ই নয়। পেপার মানি বাড়িতে কুলুঙ্গিতে, ড্রয়ারের তলায়, তোষকের নিচে এইভাবে রেখে দেওয়া যায়। আছে, এবং নেই -- এই অনস্তিত্বে। এটা পেপার মানির অন্যতম বড়ো অনর্থ। ইলেকট্রনিক মানিতে এই অনর্থ নেই। ওটা থাকা মানেই খাটা, ছোটা। ... 'আপনার অর্থ'-তে 'আপনার' ভাগ কমা, 'অর্থ'-র ভাগ বাড়া। আপনার ক্ষমতা কমা, অর্থ-র ক্ষমতা বাড়া।
BUT এইটা একটা মারাত্মক তথ্য। এবং নোট অধিগ্রহণের খেলাটা ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম। সংক্ষেপে ব্যাপারটা এই : সংসদে মন্ত্রী তথ্য দিয়েছিলেন, ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোটে মোট ১৪.৫ লক্ষ কোটি টাকার মতো রয়েছে। এজি জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে -- সরকার আশা করছে ১০-১১ লাখ টাকা মতো জমা পড়বে। যেটা উহ্য ছিল -- বাকিটা ব্ল্যাক মানি ঘোষণা করা হবে।
২৮ নভেম্বর আরবিআই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মোট ৮.৫ লক্ষ কোটি টাকা জমা পড়েছে বাতিল নোটে। কিন্তু প্রশ্নটা হলো মোট ১৪.৫ লাখ টাকা মূল্যের পাঁচশ হাজার টাকার নোটই কি বাজারে লোকের হাতে ছিল? ৮ নভেম্বর, অর্থাৎ যেদিন নোট অধিগ্রহণ ঘোষণা হলো -- সেদিনকার আরবিআই এর হিসেবে, তার হাতে ছিল ক্যাশে ৪ লক্ষ কোটি টাকার মতো। এবং ব্যাঙ্কগুলোর কাছে ছিল ৭০ হাজার কোটি টাকার মতো। ক্যাশে। এর ৮৫ শতাংশ যদি পাঁচশ হাজার এর নোটে হয়, তাহলে দাঁড়ায় ৪ লাখ কোটি।
তাহলে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে মোট কত মূল্যের বাতিল নোট ব্যাঙ্কে এসে গেছে? ১২.৫ লক্ষ কোটি টাকা। এখনও একমাস বাকি। আশা করা যায়, খুব কম পরিমাণ টাকা জমা পড়বে না। সরকারের প্রত্যাশিত ৩ বা সাড়ে ৩ লক্ষ কোটি জমা না পড়ার হিসেব মিলছে না।
তাহলে নোট অধিগ্রহণের ঘোষিত মোটিভ কি পূর্ণ হচ্ছে?
BLACK MONEY .... VS
ভারত হিন্দুস্তান হতে চলেছে মনে হচ্ছে........
নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোটে অসাংবিধানিক ভাবে দেবনাগরীতে সংখ্যা ছেপে, আগের চেয়ে বেশি দেবনাগরী লিপিতে হিন্দি ছেপে এবং অন্য ভাষাগুলিকে আরো ছোট করে দেওয়া হয়েছে। নতুন নকশার নানা বৈশিষ্টের মাধ্যমে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন সংঘরাষ্ট্রের অহিন্দী ভাষিক জাতীয়তাগুলিকে আরো প্রান্তিক করে দেবার চক্রান্ত করা হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর একটি বিরাট আঘাত। অথচ ফিরিঙ্গী শাসনকালে নোট ৮-৯টি ভাষায় সংখ্যা ও অক্ষর থাকত একই সাইজের। "এই সময়" দৈনিকে আমার প্রবন্ধ।
" নতুন নোটের ডিজাইনের মধ্যে নিহিত কয়েকটি জিনিস ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন সংঘরাষ্ট্রের ভাষিক জাতিসমূহের মধ্যেকার মৌলিক বোঝাপড়াকে পদদলিত করে। নতুন নোটে অগ্রাধিকার পেয়েছে ৩টি জিনিস - হিন্দি, দিল্লি ও মোদী।...টাকার নোটে ছাপা তথ্য কি শুধু হিন্দিভাষীদের জন্য? বাকিরা কি বানের জলে ভেসে এসছে? এই সকল ধারণার একটা মিথ্যা উত্তর মজুত থাকে। সেটা হলো হিন্দী হলো ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন সংঘরাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা। এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা হওয়া সত্ত্বেও সরকারি ও বেসরকারি কায়েমী স্বার্থান্বেষী চক্র গত ৭০ বছর ধরে এই মিথ্যা প্রচার করে চলেছেন। ভারতের সংবিধানে রাষ্ট্রভাষা ধারণাটিরই কোন স্থান নেই। ভারতের কোন রাষ্ট্রভাষা নেই। গুজরাট হাইকোর্ট তার বিখ্যাত রায়তে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে অহিন্দী রাজ্যে, হিন্দী বিদেশী ভাষার সমতুল্য। ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন নামক সংঘরাষ্ট্রে অহিন্দীভাষী জাতিসমূহ যে চুক্তির দ্বারা হিন্দীভাষী জাতির সাথে আবদ্ধ, তার নাম দিল্লীতে ক্ষমতাধারী পার্টির হিন্দীকরণের ম্যানিফেস্টো নয়। তার নাম সংবিধান। টাকার নোটে এই সংবিধানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো প্রকারান্তরে ইন্ডিয়ান উনিয়নের ঐক্যের উপর আঘাত হানা। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে যে রাজনৈতিক আদর্শ মানুষে মানুষে ভাষার প্রশ্নে বৈষম্য ঘটায় এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিককে ভাষার প্রশ্নে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করে, তা কোন বহুভাষী রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর নয়। ১৯৭১-পূর্ব্ববর্তী পাকিস্তান এক জ্বলন্ত উদাহরণ। দুর্ভাগ্যের কথা এই যে যখন এই উপমহাদেশ ফিরিঙ্গী শাসনাধীন ছিল, তখন কিন্তু চালু টাকার নোটে ৯টি লিপিতে সংখ্যা (ইংরেজি সমেত) একই সাইজে দেওয়া থাকতো। বহু ভাষাকে সমমর্যাদা দেবার ইতি ঘটে ১৯৪৭-এ ইন্ডিয়া রাষ্ট্র গঠিত হবার সাথে। হিন্দি তথা দেবনাগরী পরিণত হয় তথ্য দেবার জন্য বড় আকারে। অন্যান্য ভাষা পর্যবসিত হয় পিছনদিকের এক ছোট প্যানেলে গাদাগাদি করে ক্ষুদ্র আকারে, বৈচিত্রের পরাকাষ্ঠা হিসেবে।...নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোটে বিরাজ করছে লালকেল্লা। লালকেল্লার স্মৃতি ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন সংঘরাষ্ট্রের সকল জাতির কাছে সুখকর নয়। লালকেল্লা ছিল দিল্লী-কেন্দ্রিক মোঘল সাম্রাজ্যের সদর দফতর। ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন সংঘরাষ্ট্র মোঘল সাম্রাজ্যের উত্তরাধীকারী রাষ্ট্র নয়। এটি ১৯৪৭-এ সৃষ্ট। দিল্লী-কেন্দ্রিক যে সাম্রাজ্য বাঙালি, অহমিয়া, ওড়িয়া ইত্যাদি নানা স্বাধীন এলাকা দখল করেছিল, লাল কেল্লা সেই স্বাধীনতা হরণের প্রতীক। মূলতঃ হিন্দী-উর্দু ভাষী লোক-লস্কর এই দখলকৃত এলাকায় বসিয়ে তারা এই দেশগুলিকে শাসন করতো। লালকেল্লা দিয়ে আজকের নতুন দিল্লীর সরকার কি প্রমাণ করতে চায়? "
RIL-JIO VS ........ L.M.ENTERPRISE....
ক্রেডিট সুইস নামে একটা নামজাদা সংস্থা ২০১০ থেকে প্রতি বছর সারা বিশ্বের সম্পদের হিসেব নিকেশ দিয়ে আসছে। এ বছরেরটা বের করেছে কাল। তাতে ভারতের-টাতে দেখা যাচ্ছে, দেশের মোট সম্পদের ৮০.৭ শতাংশ আছে ১০ শতাংশ ধনীর হাতে। আর মোট সম্পদের ৫৮.৪ শতাংশ আছে ১ শতাংশ মহাধনীর হাতে। অর্থাৎ দেশের মোট সম্পদ যদি ১০০ টাকা হয়, তার মধ্যে ৮০.৭ টাকা আছে ১০ শতাংশের কাছে, আর ৫৮.৪ টাকা আছে ১ শতাংশের কাছে। এবং প্রায় প্রতি বছর সম্পদের এই ঘনীভবন বাড়ছে। এশিয়ার মধ্যে এই ব্যাপারে সবচেয়ে এগিয়ে আমরা।
এই অবদিই তথ্যটা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কিন্তু তথ্যটির আরো উদ্বেগজনক দিকও আছে বইকি! গ্রাফটা ভালো করে নজর করা হোক।
২০১০ সালে ধনী ১০ শতাংশের হাতে ছিল ৬৮.৮ শতাংশ সম্পদ। আর মহাধনী ১ শতাংশের
হাতে ছিল ৪০.৩ শতাংশ সম্পদ। ধনী ১০ শতাংশের মধ্যে তো ওই মহাধনী ১ শতাংশও
আছে। ওদের বিয়োগ করে হিসেবটা কী দাঁড়ায় দেখা যাক। -- মহাধনী ১ শতাংশের
শেয়ার বাদ দিলে ধনী ৯ শতাংশের হাতে আছে ২৮.৫ শতাংশ সম্পদ। ২০১০ সালে। পরের
বছর ২০১১ সালে ধনী ৯ শতাংশের হাতে দাঁড়িয়েছে ২৬ শতাংশের মতো সম্পদ। তার
পরের তিন বছর, ২০১২, ২০১৩, ২০১৪ তে ধনী ৯ শতাংশের হাতে সম্পদ প্রায় স্থির,
২৫ শতাংশের মতো। ২০১৫ তে কিন্তু ধনী ৯ শতাংশের সম্পদ কমে যাচ্ছে। হচ্ছে
২৩.৩ শতাংশ। এবছরের হিসেবে, ২০১৬ তে তা দাঁড়িয়েছে ২২.৩ শতাংশের মতো।
অর্থাৎ, শুধু অধনী ৯০ শতাংশ গরীবতর হচ্ছে না, ধনী ৯ শতাংশও গরীব হচ্ছে। ধনী হচ্ছে কেবল মহাধনী ১ শতাংশ। সংখ্যার বিচারে তারা ভারতের এক দেড় কোটি।
কারা এরা? আসুন, একটু ভাবা যাক। ভারতের এক দেড় কোটির মধ্যে মোটামুটি স্বচ্ছল রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের কতজন থাকতে পারে? লাখ পাঁচেক। পশ্চিমবঙ্গের লাখ পাঁচেকের মধ্যে কলকাতার কতজন থাকতে পারে? কলকাতার যেমন রক্তচোষা ক্যারেকটার, তাতে লাখ তিনেক হবে।
আপনি কি কলকাতার মহাধনী তিন লাখের একজন? অথবা, পশ্চিমবঙ্গের মহাধনী পাঁচ লাখের একজন? যদি না হন, তাহলে গত ছ' বছরে আপনি গরীবতর হয়েছেন তাদের তুলনায়। তারা মহাধনীতর হয়েছে।
নোট অধিগ্রহণে আপনি নিশ্চিতভাবে আরো গরীব হবেন। এবং মহাধনীরা নিশ্চিতভাবে ধনীতর হবে। কেন? কারণ নোট অধিগ্রহন প্রক্রিয়ায় (যা কার্যত একটি নয়া ব্যাংকিং রেগুলেশন মাত্র) ধনীতর হবার জন্য তারা নিশ্চিতভাবে আপনার চেয়ে বেশি প্রস্তুত, এক কদম আগে। তাদের বিদেশে টাকা আছে। কার্ড আছে প্রচুর। স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি আছে। বিজনেস আছে ঝোপ বুঝে কামিয়ে নেওয়ার জন্য। ব্যাঙ্ক তাদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে টাকা খাটানোর জন্য। তাদের ল ইয়ার আছে গুচ্ছ, আইনের ফাঁক গলে মাল ঝাপার জন্য। কনট্যাক্টস আছে সব ওপর মহলে, অথবা তারা নিজেরা মিলেই নিজেদের কনট্যাক্ট, তাই খবর হওয়ার আগেই খবর পায়।
ঠিক আছে? নিজের পজিশন বুঝলেন? এবার নিজের মতামত ঠিক করুন।
JONO DHON VS VIJAY MALIYA
আমার মনে হচ্ছে, টাকা অধিগ্রহণের পেছনের ষড়যন্ত্রটা এখনো পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে, তার থেকেও বড়ো।
কেন? কাল সুপ্রিম কোর্টে আমাদের এজি হিসেব দিয়েছে, বাজারে ১৫-১৬ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ৫০০-১০০০ টাকার নোট আছে, সরকার আশা করে, তার মধ্যে ১০-১১ লক্ষ কোটি জমা পড়বে। যাতে কম জমা পড়ে, তার জন্য নানাবিধ ব্যবস্থা, যেমন আড়াই লক্ষ-র বেশি জমা দিলে উঁচু ট্যাক্স, জবাব চাওয়া, জনধন অয়াকাউন্টে পঞ্চাশ হাজার ক্যাপ, সমবায় ব্যাঙ্কে জমা নিষেধ ইত্যাদি। বেশ। কিন্তু বাকি যেটা জমা পড়ল না? লোকে ভয়ে ফেলে দিল বা নষ্ঠ করল?
অর্থাৎ, শুধু অধনী ৯০ শতাংশ গরীবতর হচ্ছে না, ধনী ৯ শতাংশও গরীব হচ্ছে। ধনী হচ্ছে কেবল মহাধনী ১ শতাংশ। সংখ্যার বিচারে তারা ভারতের এক দেড় কোটি।
কারা এরা? আসুন, একটু ভাবা যাক। ভারতের এক দেড় কোটির মধ্যে মোটামুটি স্বচ্ছল রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের কতজন থাকতে পারে? লাখ পাঁচেক। পশ্চিমবঙ্গের লাখ পাঁচেকের মধ্যে কলকাতার কতজন থাকতে পারে? কলকাতার যেমন রক্তচোষা ক্যারেকটার, তাতে লাখ তিনেক হবে।
আপনি কি কলকাতার মহাধনী তিন লাখের একজন? অথবা, পশ্চিমবঙ্গের মহাধনী পাঁচ লাখের একজন? যদি না হন, তাহলে গত ছ' বছরে আপনি গরীবতর হয়েছেন তাদের তুলনায়। তারা মহাধনীতর হয়েছে।
নোট অধিগ্রহণে আপনি নিশ্চিতভাবে আরো গরীব হবেন। এবং মহাধনীরা নিশ্চিতভাবে ধনীতর হবে। কেন? কারণ নোট অধিগ্রহন প্রক্রিয়ায় (যা কার্যত একটি নয়া ব্যাংকিং রেগুলেশন মাত্র) ধনীতর হবার জন্য তারা নিশ্চিতভাবে আপনার চেয়ে বেশি প্রস্তুত, এক কদম আগে। তাদের বিদেশে টাকা আছে। কার্ড আছে প্রচুর। স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি আছে। বিজনেস আছে ঝোপ বুঝে কামিয়ে নেওয়ার জন্য। ব্যাঙ্ক তাদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে টাকা খাটানোর জন্য। তাদের ল ইয়ার আছে গুচ্ছ, আইনের ফাঁক গলে মাল ঝাপার জন্য। কনট্যাক্টস আছে সব ওপর মহলে, অথবা তারা নিজেরা মিলেই নিজেদের কনট্যাক্ট, তাই খবর হওয়ার আগেই খবর পায়।
ঠিক আছে? নিজের পজিশন বুঝলেন? এবার নিজের মতামত ঠিক করুন।
JONO DHON VS VIJAY MALIYA
আমার মনে হচ্ছে, টাকা অধিগ্রহণের পেছনের ষড়যন্ত্রটা এখনো পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে, তার থেকেও বড়ো।
কেন? কাল সুপ্রিম কোর্টে আমাদের এজি হিসেব দিয়েছে, বাজারে ১৫-১৬ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ৫০০-১০০০ টাকার নোট আছে, সরকার আশা করে, তার মধ্যে ১০-১১ লক্ষ কোটি জমা পড়বে। যাতে কম জমা পড়ে, তার জন্য নানাবিধ ব্যবস্থা, যেমন আড়াই লক্ষ-র বেশি জমা দিলে উঁচু ট্যাক্স, জবাব চাওয়া, জনধন অয়াকাউন্টে পঞ্চাশ হাজার ক্যাপ, সমবায় ব্যাঙ্কে জমা নিষেধ ইত্যাদি। বেশ। কিন্তু বাকি যেটা জমা পড়ল না? লোকে ভয়ে ফেলে দিল বা নষ্ঠ করল?
ভেবে দেখুন। সেই টাকাটা রিজার্ভ ব্যাংকের লাভ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-কে ওই
নোটের সম মূল্যমান আর নোটধারীকে ফেরত দিতে হল না, যেটা করতে সে আইনত বাধ্য
ছিল। [ব্যাখ্যা : যখন legal tender হিসেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ওই নোটগুলো
বাজারে ছেড়েছিল, তখনই সে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় জড়িয়ে গেছিল - নোটধারীকে
সম মূল্যমান ফেরত দেবে, যেটা লেখাও থাকে নোটের ওপরে, এবং সই থাকে রিজার্ভ
ব্যাঙ্কের গভর্ণরের।]
এবার সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে টাকাটা চাইতেই পারে, কারণ সে ভয় দেখিয়েই তো কেল্লা ফতে করেছে।
তার মানে সরকার ভয় দেখিয়ে জোর করে নোট অধিগ্রহণ করে নিজের পকেটে পুরতে চলেছে ৫ লক্ষ কোটি টাকা। এটা জনগণের টাকা।
এবার সরকার কী করবে? ওই টাকা যদি ৫০ কোটি অয়াকাউন্ট হোল্ডারের কাছে পাঠায়, তাহলে প্রত্যেকে পাবে ১০ হাজার করে। যদি ফিফটি ফিফটি করে, তাহলে অর্ধেক দেবে ব্যাঙ্কগুলোকে কর্পোরেটদের লোন দেওয়ার জন্য, অর্ধেক অয়াকাউন্ট-এ ফেলবে।
আমার মনে হচ্ছে এটাও এই টাকা অধিগ্রহণ ষড়যন্ত্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এবার সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে টাকাটা চাইতেই পারে, কারণ সে ভয় দেখিয়েই তো কেল্লা ফতে করেছে।
তার মানে সরকার ভয় দেখিয়ে জোর করে নোট অধিগ্রহণ করে নিজের পকেটে পুরতে চলেছে ৫ লক্ষ কোটি টাকা। এটা জনগণের টাকা।
এবার সরকার কী করবে? ওই টাকা যদি ৫০ কোটি অয়াকাউন্ট হোল্ডারের কাছে পাঠায়, তাহলে প্রত্যেকে পাবে ১০ হাজার করে। যদি ফিফটি ফিফটি করে, তাহলে অর্ধেক দেবে ব্যাঙ্কগুলোকে কর্পোরেটদের লোন দেওয়ার জন্য, অর্ধেক অয়াকাউন্ট-এ ফেলবে।
আমার মনে হচ্ছে এটাও এই টাকা অধিগ্রহণ ষড়যন্ত্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
No comments:
Post a Comment