Tuesday, 20 June 2017

পুরx

বা মাইক্রোওয়েভে তৈরি রান্নাও কিন্তু টেস্টোস্টেরনের বারোটা বাজায়। আর এই টেস্টোস্টেরন তৈরিতে বাধা মানে কামশক্তির দফারফা। আমেরিকার মতো দেশেও প্রতিবছর গড়ে ৫ লক্ষ করে পুরুষের টেস্টোস্টেরন ঘাটতি ধরা পড়ে। মনে রাখবেন আপনার ভুঁড়ি যত বাড়বে, যত শরীরে মেদ জমবে, টেস্টোস্টেরন সেই অনুপাতেই কমবে। তাই টেস্টোস্টেরন বাড়াতে হলে শরীরে মেদ জমতে দেবেন না। এ জন্য ঘাম ঝরাতে হবে।

এই ৪ টেস্টোস্টেরন ঘাতক

১. বাণিজ্যিক দুধ, দই ও চিজ
২. প্যাকেটজাত ও খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ করা খাবারদাবার
৩. সোয়াভিত্তিক খাবার
৪. মাইক্রোওয়েভে তৈরি খাবার

এস্ট্রোজেনিক ও প্রোজেস্টেরন যৌগ থাকায় এই খাবারগুলো ছেলেদের যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া উচিত। এস্ট্রোজেন বাড়লে টেস্টোস্টেরন হরমোন স্বাভাবিক ভাবেই কমবে। ক্রমে গড়নে মেয়েলি কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাবে।

যে পাঁচ খাবারে টেস্টোস্টেরন বাড়ে:

১. গোটা ডিম
২. মাংস (ঘাস খায় এমন )
৩. অ্যালমন্ডস
৪. কাজুবাদাম

৫. নারকেল তেল

উপরে উল্লিখিত খাবারগুলো হল স্যাচুরেটেড বা সম্পৃক্ত ফ্যাটের উত্‍‌স, যার মধ্যে থাকে কোলেস্টেরল। যে কোলেস্টেরল থেকে আমাদের শরীরে টেস্টোস্টেরন তৈরি হয়। তা বলে বেশি বেশি সম্পৃক্ত ফ্যাট আবার না-খাওয়াই ভালো। একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। খুব কম খেলে যেমন শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা একদম কমে যাবে, আবার বেশিমাত্রায় হার্টের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।

জার্নাল অফ অ্যাপলায়েড ফিজিওলজির একটি রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, খাদ্যতালিকায় ৪০ শতাংশ ফ্যাট টেস্টোস্টেরনের মাত্রা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। সেই তুলনায় যাঁদের খাবারে ২০ শতাংশ ফ্যাট থাকে, তাঁদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রাও খুব কম।

Saturday, 3 June 2017

পাঁচ গাল ভাত

আমার বড় ঘৃণা পাচ্ছে । বড় অসহায় লাগছে কখনও । জানা নেই আমার কি হবে ছাদের ওপর আজ উঠেছিলাম নিজেকে শেষ করার জন্যে কিন্তু ভোর আগের মুহূর্তে আকাশ টা কি অদ্ভুত সুন্দরী_  আবার প্রেমে পরে গেলাম ।তারপর সকাল হল আর দেখলাম সকলের আলোটা আন্ধকারের চেয়ে বেশী একা ____

প্রেমে পারে যাওয়াটা আমার অসুখ । এই প্রেমে পরে আজ আমার এই হাল ... অথচ বদলাম কোথায় _
ঠিক মতোন রোজগার করতে পারি না । স্বামী হয়ে খাওয়ানো মুরোদ নেই তো বউ পেটের দায়িত্ব নিয়েছে যখন_,  তখন একটু পেট দেখিয়ে হাত নারিয়ে অন্য পুরুষের জন্যে একটু ঠোঁটে হাসির রঙ মাখতেই পারে । বাংলা সাহিত্যের অসীম জ্ঞান বলে লম্ফ ঝম্প করি । বাংলা কথাটা বুঝি নি , যে মরদের আয় নেই সে তার বউয়ের বেশ্যা বৃত্তির উপার্জনের অর্থেই অন্ন হাসি মুখে চিবাইতে চিবাইতে বউএর রান্নার গুণ গান করতে হবেই ।
এশিক্ষা পেয়েছিলাম আজকের অন্নদাতা । সামাজিক ভাবে ওর পরিচয় আমি দিতে চাইলে ও পরিচয় দিতে হয় না ।
2 বছর আগে ওর কাছে এসেছিলাম যখন বউ আমাকে ছেড়ে চলে গেল । জীবন প্রথম পেগ মদ বুক জ্বলে যাচ্ছে ওর একটা কথাই আমার জীবন বদলে দিল । যে তোমাকে ভুল বোঝার ভুল করে তাকে  অধিকার তোমার আছে মদকে তার  কৃতিত্ব নিতে দিয়ো না । সব বড় কথা যে তোমার ভালোবাসাকে মর্যাদা  দেয় নি তার জন্যে সময় নষ্ট করো না।
আসলে সারাজীবন পরীক্ষা করে গেছি আমি কতটা আধুনিক প্রমাণিত করতে স্বাধীনতা দিয়ে ছিলাম আমার বউ কে । স্বাধীনতার সাথে একটা দায়িত্ব থাকে , নয়তো স্বাধীনতা সেচ্ছাচারিতায় পরিণত হয়
পাঁচ বছর আমাদের বিয়ে হয়েছিল । ভালোবাসার বিয়ে মানেই একটা চুক্তি । আমার ক্ষেত্রে ততটা জটিল ছিলো না। একটা ব্রকাপের পর একটি ভালো সঙ্গীর সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলোর স্মৃতি গুলোই কষ্ট দেয়। তাই একটা নতুন সম্পর্কে জরুরী ছিলো । আমার লেখা পাসপোট গল্পে আমার জীবন কাহিনীর ছায়া পরেছিলো ।
তাই বহু দয়াবান মহিলা আশ্রয় হয়ে আমার ক্ষতে মলম দিতে চাইল । যোগান বেশি থাকায় সবচেয়ে কম বয়সী উচ্চাকাক্ষী মেয়েটিকে বাছালুম । বাড়ির শর্ত ছিলো প্রেমিক নয় এবার স্বামী হতে হবে ।  প্রেমিক হবার মতো সহজ কাজ ছেড়ে স্বামী হবার মতোন বড় চেলেঞ্জ নিতে একটা আলাদা উৎসাহ পেলাম নিজেকে যুবক থেকে পুরুষ হবার একটা আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না ।  মেয়েটি ভালোবাসে ফেলেছিলাম কারণ আবেগ থেকে দায়িত্ব বোধ ছিলো বেশি । ও একটি ছেলের প্রেমে পরে গেছিল সে সময় । মা বাবার অর্থনৈতিক অবস্হা ভালো নয় এদিকে ও বড় হতে চায় । তবে মিথ্যা বলবো না সে আমাকেও প্রতিশ্রুতি  দিয়েছিল একটা government job পেলে 5% কমিশনের এজেনসি না চালিয়ে শুধু লেখালিখিতে মনসংযোগ করিয়ে সে একদিন অনেক বড় লেখক করে তুলবে ।  স্বপ্ন দেখে ছিলাম আমিও আশার আলোতো জীবনের প্রাণ শক্তি ।
প্রথম প্রথম ভালোই কাটালো , পূজার সময়ে ওর বিষন্ন মন দেখে বলাম ছেলেটার সাথে ওর বন্ধুত্ব রাখার অনুমতি  দিয়ে দিলাম ।.......

। । । । । । । । । । । । ।১ হাতে তালি বাজে না । ।  । । ।  । । । । । । । । । । । । ।
বাড়িতে আজ ভীষন অশান্তি হলো ।  ছোটো চুল দেখা ওরা বুঝতে পেরেছে সত্যি আমি নিজের শ্রদ্ধা করেছি । একটি জীবনের একটি দিনে মাত্র 84600 সেকেন্ড । আমি নিজের জন্যে নিজের পরিবার কে বাচাবার জন্যে চেষ্টা করিনি একটি  সেকেন্ড ও খরচা করি নি  গত তিনটি বছর ধরে । এ তিন বছর কিন্তু আমি একা ছিলাম না  ।  একটা ফুলের মত সহজ সরল বন্ধুও ছিলো  যে আমাকে বার বার বলতো সম্পর্কটা থেকে বাড়িয়ে আসতে নতুন করে শুরু করতে । সেই প্রিয়াকে ও সুযোগ দিলাম না । নিজের বুকে পাথর চাপ দিয়ে হাসি মুখে ওর বিয়ে দেখালাম চোখের জলকে শাসনে রেখে ।  বাসর রাতে সু�যোগ মতো আমাকে অভিশাপ দিলো 'তুই কোনদিন সুখী হবি না । আজকের দিনে আধিকার অর্জন করতে হয় । '  জানি না আমি চারটি জীবন নষ্ট করেছি কিনা । তবে আমি কোনদিন কাউকে সুখী করি নি । কিন্তু আমি চিরকাল আনন্দে থেকে ছি ।  দুঃখের মধ্যেও আনন্দ আছে সেটা উপভোগ করতে আমি জানি ।
আমার বাবা  the real hero । ছোটবেলা থেকে শুধুই নিজের সুখ বলিদান করে সকলকে সুখী করতে চেয়েছে । তাকে কোনদিন একটা মিষ্টি এনে দিয়ে খুশি করার চেষ্টা করিনি । অথচ smart  phone পেলে social midia দৌলতে বউয়ের চরিত্র পতন হতে পারে জেনেও আমি আমার সার্মার্থ বাইরে গিয়ে ফোন কিনে দিলাম । এরকমই ভুলে ভরা আমার জীবন । ভুলের কোন শাস্তি পাইনি , তাই নিজের শাস্তি নিজে বিধান দিলাম  । একটা নতুন শুরু জন্যেই নিজের শ্রাদ্ধ করলাম ।
এরকম কষ্ট পাওয়াতো আমার কাছে নতুন নয় । বারবার আমি প্রেমে পরি । আমার আঘাত মলম হয়ে ও বিয়ে করেছিল । আজ আবার আঘাত নতুন করে প্রেমের ইশারা সর্তকতার সাথে কাটানো গেলো । কিন্তু নতুন একটা শুরু চাই । সব সম্পর্কে একটা লেনদেনর । বাবা মা badboy কিন্তু আজ আবার তাদের চোখে নিচে নেমে গেলাম ।

✓✓✓✓✓✓✓✓

নাটক দেখতে গেলাম দশবছর পর ।ওখানেই আলাপ আল্পনার সাথে ....
বনিকে ঠোকিয়েছি প্রথম ফোনটাছিলো ওরই তাই রিয়ার সাথে পালানো হলো না
✄✄✄☎
মা... ও মা...

কি হয়েছে?
দ্যাখোনা রক্তে ভেসে যাচ্ছে বাথরুম,
ক্যানো?? আমি......
ও বুঝলাম, কিচ্ছু হবেনা.. তুই বড় হচ্ছিস..
এটা হওয়া স্বাভাবিক, অপেক্ষা কর, আমি আসছি,
মা মিনিট খানেকের মধ্যে এলো, মায়ের পুরনো এক ছেঁড়া কাপড়ের টুকরো নিয়ে...
তারপর কিসব করে দিলো, আর শিখিয়ে দিলো সব
মন দিয়ে দ্যাখে শিখে নিলুম সবটাই,
আর মা বলে দিলো, কাউকে বলবেনা,
এমনকি, বাবা দাদা কাউকে'না...
মায়ের কনকাঞ্জলি সেরে আমার ঘরে ফিরলুম..
অসহ্য তলপেট যন্ত্রণায় ছটফট করছি, মা বললো হবেই, সহ্য করতে শিখে যাও।

মায়ের কথা শুনেই অভ্যেসের পথে
এগিয়ে চললো সব....

বাবা সন্ধ্যায় ফিরে এলো, এসে আমায় বললো,
মা প্রসাদ এর থালাটা নিয়ে আয়;
আমি আনতে যাচ্ছি ঠাকুর ঘরে...
মা চেঁচিয়ে উঠলো, নাহহহহহ
যাস না,  আমি থমকে গ্যালাম...
মা নিজে এনে বাবাকে দিলো, আর আমায় বললো, তোর শরীর খারাপ ঠাকুর ঘরে যাস না...
মাথায় ঢুকলো না কিছুই,
আমার শরীর খারাপ কই?
জ্বর আসেনি তো, মাথা যন্ত্রণা করছে না তো;
আমার তো শরীর ঠিকই আছে...
মা'কে জিজ্ঞাসা করলুম, সে সহজেই বুঝিয়ে দিয়েছিল সবটাই...

পরদিন সকালে মা আরও অনেক নিয়মাবলী শিখিয়ে দিলো আমায়,
সেদিন সকালেই ভাই ধূপকাঠির প্যাকেট টা কিনে এনে আমার পড়ার টেবিলে রেখেছিল, আমি অভ্যেসের বশে ঠাকুরমার হাতে তুলে দিয়েছিলাম সেই ধূপের প্যাকেট...
ঠাকুরমা তাচ্ছিল্য করে বলেছিল," মাইয়াডা যে কি হইছে, কিছুই বোঝেনা, তোর না শরীর খারাপ, কিচ্ছু ছুবিনে,তুই ছুলি সেই জিনিস দে পুজো হবেনানে"

আমি আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, আমি সন্ধ্যাবাতি জ্বালবোনা, শাঁখে ফুঁ দেবোনা ওই তুলসী তলায়....??
ঠাকুরমা ধমক দিয়ে বলেছিল,"পুজো তো একদম না, ঠাকুর ঘরের দুয়ার মারাবী না তুই"

আমি এক দৌড়ে ঘরে এসে অনেক কেঁদেছিলাম..
তারপর অনেক দুর্গাঞ্জলী, অষ্টমীর সকাল, বাড়ির শীতলা পুজো,সরস্বতীপুজো চলে গ্যাছে, আমি নিজেকে মিলিয়ে দিতে পারিনি সকলের সাথে;
ওই বিশেষ দিনের অভিশাপে...
সেই যন্ত্রণা আজও বয়ে বেড়াই আমি।।

আজ চব্বিশ টা বছর অতিক্রম করেছি,
যন্ত্রণা আজ রন্ধ্রে রন্ধ্রে;
তাদের মেয়ে আজ একজনের বউ,
আর, মা তো বটেই...
তারপর, আমার সন্তান বড় হলে হয়তো এই একই কনকাঞ্জলি শুনিয়ে দেবো তাকে;
এই সামাজিকতার চাপে...

কিন্তু আজ আমার এ প্রস্ফুটিত মন এক প্রশ্নের মুখোমুখি....
মাসের ওই কটা দিন  এতটাই অপবিত্র যে,
পৌছাতে পারবো না মন্দিরের সীমানায়,
পারবো না দেবীর পায়ে ফুল ছোঁয়াতে...
শঙ্খধ্বনিতে সন্ধ্যা মাতাতে পারবো না...
কিন্তু ক্যানো??

মাসের ওই পাঁচ বা সাতদিন বদরক্তের প্রামাণ্যতায়
অশুচি অশুদ্ধতায় মন্দির পথ বন্ধ আমার জন্য...
মানতে পারিনা আজও...
তবে, যদি এই ব্যাধি( ওদের চোখে) মেনেই নি,
তাহলে আজ ক্যানো এই উৎসব, উদ্দীপনা
সেই মন্দির কেই ঘিরে....
আমাদের বাজারের কালো কাগজে মোড়া বা টুকরো কাপড়ের লুকোচুরি... প্রকাশ্যে আসুক...
সাদা কাপড় যখন রক্তে ভিজে একাকার,সেই কাপড় লাখো লাখো টাকায় বিক্রি পন্য হয়ে যায়... তবে আমরা আজ বিশেষ দিনগুলিতে পর্দার আড়ালে ক্যানো?

বছর যদি উৎসব হতে পারে,মাস হোক তবে মহোৎসব...

যেনে রাখুক সমাজ, ওই রক্তেই বংশ লিখেছি
আমি/আমরা; লিখবো জীবনভর... 

যে পুরুষ বেশ্যাকে ঘৃণা করে, রাতের আধারে সেই পুরুষই তাকে বুকে জড়িয়ে নেয়!

প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়ে যে ছেলে কষ্ট ভুলতে গাঁজা খায়, সে ছেলে দুদিন পর আবার প্রেমে পড়ে!

ফেসবুকে ভদ্র সাজলো যে মেয়ে, দুদিন পর তার ভিডিও ফাঁস হয়৷

আমরাই গালি দেই শালা হারামজাদা বাস থামালি কেন! সেই আমরাই আবার অন্য কাউকে ভাই ভাই ডাকি!

মাছ বিক্রিতার শরীর থেকে মাছের গন্ধে নাক ছিঁটকাই, সেই লোক একটা পরিবারের অন্য যোগায়! মুচি, মেথর না থাকলে কি হতো ভেবে দেখেছেন!

ছোট বেলায় কারেন্ট ছিলো না বলে মোমবাতি দিয়ে কত রাত পার করলাম, সেই আমরা বড় বেলায় বাতি অফ করে মোমবাতি দিয়ে ক্যান্ডেলাইট ডিনার করি!

পৃথিবীর এক প্রান্তে কেউ ধর্ষিত হয় বেশ্যালয়ে, অন্য প্রান্তে কেউ ধর্ষিত হয় প্রেম করে৷

এক পশলা বৃষ্টির আশায় বসে থাকি ভিজবো বলে, আবার কেউ আকাশে মুখ তুলে থাকে
বৃষ্টি হলে আজ রোজগার বন্ধ!

নারী ছলনাময়ী, নারী বেঈমান, পুরুষ কাপুরুষ, পুরুষ বিশ্বাসঘাতক৷ অথচ দিনশেষে তাদের নিয়েই এক একটা সংসার! দৃষ্টিভঙ্গি বদলাও জীবন বদলে যাবে।
         আসুন ভালো থাকি।

Thursday, 1 June 2017

গরুই আমাদের জাতীয় পশু হওয়া উচিৎ

ময়ুরের চোখের জলে ময়ুরী গর্ভবতী হয় শুনে আমরা প্রাণ খুলে রঙ্গ রসিকতা করলাম।( ময়ূরের চোখের জলে ময়ূরী গর্ভবতী হয়, এমনটা নাকি লোকসমাজের জ্ঞান থেকে পাওয়া যায়,-দর্শন ও শ্রবণ হইতেই সন্তানলাভ হইত' , ভার্জিন মেরির গল্প আমরা ঠইকই জানি।।)
কেন? কারণ আমরা জানি, এটা অ্যাবসার্ড। কেন অ্যাবসার্ড? কারণ আমরা জানি প্রেগন্যান্ট হবার জন্য ডিম্বানু শুক্রানুর মিলন প্রয়োজন।
ময়ুরের যেহেতু পুং স্ত্রী আছে, তাই পুং দেহ থেকে স্ত্রী দেহে শুক্রানু যায় এবং এই গমনের জন্য যৌনমিলনের প্রয়োজন পরে।
এই গমনের পথ খাদ্য গমনের পথ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। একটি পরিপাকতন্ত্র আরেকটি জননতন্ত্র। ইত্যাদি ইত্যাদি।
এই জ্ঞানটা মানুষের জানার ইতিহাসে খুব বেশি পুরনো নয়। এই জানাটার নাম বিজ্ঞান।
বিজ্ঞান। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ভুল ভ্রান্তি পেরিয়ে মানুষ এই জ্ঞান আয়ত্ব করেছে। এবং হ্যাঁ, ইউরোপের মানুষরাই এই জ্ঞান আয়ত্ব করে প্রথমে। আমরা জানতে পারি ইংরেজ আমলের শিক্ষায়।
আর হ্যাঁ, ময়ুর দেখে ভেবলে গেছিল ডারউইন স্বয়ং। ভেবেছিল, বিশাল ল্যাজওয়ালা এই পাখিটা বিলুপ্ত না হয়ে টিঁকে গেল কী করে! তাই ময়ুর বিশাল ল্যাজ বিপুল দেহভার নিয়ে যৌনমিলন করতে পারবে না, ব্যালেন্স রাখতে পারবে না, কমন সেন্স থেকে যদি এমন মনে আসে, তা কি একেবারেই অ্যাবসার্ড? অ্যাবসার্ড তখনই যখন আমাদের কমন সেন্স-এর মধ্যে ঐ বিজ্ঞান-সেন্সটা ঢুকে যায়।
কমন-সেন্স এ ঐ বিজ্ঞান মনস্কতা ঢুকলে তখনই বোঝা যায়, ময়ুর-ময়ুরীও যৌন মিলন করতে, হ্যাঁ, বাধ্য। কীভাবে ময়ুরী প্রেগন্যান্ট হয় তা সম্যক না জানলেও চলে, তাতেও একথা মনে আসে না, যে, ময়ুরী এভাবেও প্রেগন্যান্ট হতে পারে, ওভাবেও প্রেগন্যান্ট হতে পারে।
আচ্ছা, ময়ুর বাদ দিলাম। এবার পাওয়ার গ্রিড নিয়ে আসা যাক।
কারণ আমার মতে নিজেদের যাচাই করা যায় কেবলমাত্র অপ্রিয় আয়নায়।
যখন বলা হয়, গ্রামীন বিদ্যুদায়নের জন্য হাই ভোল্টেজ সংবহন লাইনের দরকার নেই, বিতরণ লাইনই যথেষ্ট, তখন যদি ইলেকট্রিক্যাল জানা বা ইলেকট্রিক্যালে কাজ করা মানুষরা রঙ্গ রসিকতা করে?
যখন বলা হয়, পাওয়ার গ্রিডের তড়িত-চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে আশেপাশের গ্রামের মহিলারা বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে বাচ্চাদের ক্যান্সার হতে পারে, এ কথা শুনে যদি গবেষকরা হাসে?
এসএফ৬ দূষিত গ্যাস শুনে যদি রসায়ন জানা লোকেরা হাসে, তাহলে?
তখন কী বলা হবে?
সেই হাসি রঙ্গ রসিকতাগুলোকে কি বলা যেতে পারে সায়েন্টিজম? এলিটিজম? ইউরোসেন্ট্রিজম? ক্যাপিটালিজম? মডার্নিজম?
লোক সমাজের জ্ঞান থেকে যা পাওয়া যায় না, তা শুনব না?
নাকি কষ্ট করে হলেও সেগুলো বোঝার চেষ্টা করা? যে যে থিওরাইজেশন ওগুলো বোঝার চেষ্টার মানসিক প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে, সেগুলো পাশে সরিয়ে রেখে?
যদি তা না করি?
তাহলে আজ না হোক কাল ময়ুর করে না শুনলেও অ্যাবসার্ড মনে হবে না। এইরকম আরো আছে।যেমন, পরিবেশ দূষণের জন্য ভূমিকম্প হয়। পশুপাখিদের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করে ভূমিকম্পের পূর্বঘোষণা সম্ভব। যে দেশের নেতারা বলে গরু অক্সিজেন ছাড়ে সে দেশে এসব চিন্তা তো স্বভাবিক..  .বিজ্ঞানকে এখানে থোড়াই পাত্তা দেওয়া যায়?
আমারমত, বাঘ নয়, গরুই আমাদের জাতীয় পশু হওয়া উচিৎ। দেশের উচ্চ ন্যায়লয়ের প্রধাণ বিচারপতির বিশ্লেষণী ক্ষমতা দেখে আমার মনে হয়েছে গরুই আমাদের বেশী ভাল represent করে। একসময় বাঘের কদর ছিল। তখন বাঘের মত বিচারপতিরা ছিলেন......