Monday, 21 February 2022

হংসগেড়িয়া মহাশ্মশানের মা কালি

হংসগেড়িয়া মহাশ্মশান।
বনসুন্দরীয়া থেকে কিছুটা দূরেই ,হংসগেড়িয়া। সন্ধ্যা তখন নামবে নামবে, কোলকাতায় সন্ধ্যার সাথে গ্রামের পার্থক্য এখানে পথ দেখিয়ে দেয় জোনাকি। এখন পরিবেশ অনেক বদলেছে গ্রাম গুলোর তবে, আদি গঙ্গার তীরে এই মহাশ্মশান আগের মতোই আছে। 
আগে নাকি হেতাল ভরা জঙ্গলে হংসগেড়িয়া মহাশ্মশান। লোককথায় এই জঙ্গলের মধ্য ২ ফুট পাথরের মা কালীর পাওয়া যায়। তান্ত্রিক কৈলাস পণ্ডিত এই মা কালির পুজো শুরু করেন। প্রায় ১৫০০ বছর পঞ্চমুণ্ডাশনে তিনি নাকি এখানে সাধণা করেছিলেন। তবে ১৩৬৫ সালে সূর্যকান্ত মন্ডল গভীর জঙ্গলের একাংশ কেটে নামে এই শ্মশানে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন বলে জানা যায়।বামাক্ষ্যাপাও হংসগেড়িয়া কালী মন্দিরেই পিশাচ সাধনার শিক্ষা পান। এখানে বটগাছ এবং সমাধি দেখে অনুমান করা যায় শ্মাশনটি কত প্রাচীন।

Sunday, 20 February 2022

ভীম পূজা

মেদিনীপুর বিখ্যাত  উৎসব ভীম পূজা।  একটু বলি ভীমপুজো হয় মাঘ মাসের শুক্লা একাদশীতে। এই একাদশী করলে সব একাদশী করার ফল পাওয়া যায় বোধহয় বেদব্যাস এরকম বিধান দিয়েছিলেন। 

প্রায় ৩৫০ বছর আগেনন্দকুমার থানার তাড়াগেড়্যা গ্রামে রূপনারায়ন নদীতে একটি বিশাল মূর্তির কাঠামো ভেসে মেদিনীপুরের । তখন গ্রামে ভীম একাদশী তিথিতে ভীম পূজার সূচনা হয়। ।তখন থেকেই বিভিন্ন গ্রামে শুরু হয়  এই পূজা।স্থানীয়দের সঙ্গে কথায় যে ভীম একাদশী হয় সরস্বতীপুজোর ছয় দিন পর। ভীম পূজা মেদিনীপুর জেলার একটি জনপ্রিয় পূজা। বিভিন্ন সংস্কৃতিক উৎসব প্রতিযোগিতা মেলাও হয় একে ঘিরে।
তবে আজ ভীম নিয়ে বেশি কথা নয়। তবে ভীম নিয়ে একটি গল্প বলছি।কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে মহাভারতে জ্ঞাতি হত্যার পাপ থেকে মুক্তি পেতে পান্ডবরা তীর্থ ভ্রমনে, কাশীতে এসে জানতে পারেন তাঁরা শিব  পাহাড়ের কোলে  নাকি এক ষাঁড়ের ছদ্মবেশে লুকিয়ে রয়েছেন। খুঁজতে খুঁজতে  গৌরিকুণ্ডের কাছে পৌঁছানোর  যুধিষ্ঠির একটি বিশালাকার ষাঁড়কে দেখে বুঝতে পারেন ইনি মহাদেব।  মহাদেব পাতাল প্রবেশ করতে যাচ্ছিলেন, দেখে ভীম তাকে জাপটে ধরেন। কেদারনাথে বৃষের পিঠের কুজ  হিসাবেই পূজা করা হয়।
ডঃ তমাল দাস গুপ্ত কথানুযায়ীপুজো আপনার দেখছেন মেদিনীপুরে তিনি মাহিষ্য বা হালিক কৈবর্ত জাতির নায়ক ভীম। পালযুগে কৈবর্ত বিদ্রোহ হয়েছিল, ইনি সেই সময় গৌড়ের রাজা হন।

আমার পরবর্তী প্রস্তাবিত বই দেবতা কিভাবে তৈরি হয়েছে শেষ ১৫০০ বছরে , সুলতানদের আঙ্গুলের নির্দেশনা য়। তাই এরচেয়ে বেশি কিছু বলবো না।
Video দেখতে ইচ্ছে হলে নীল linkটা স্পর্শ করুন
https://fb.watch/b7H6X623xa/

মজিলপুর ব্রম্ভময়ী কালি

জয়নগর ও মজিলপুর অনেক প্রচীন শহর। এই অঞ্চলের প্রাচীন স্থাপত্য হিসেবে এখানে আছে আছে অনেক মন্দির। কিছু মন্দির প্রমান করে এখানে তন্দ্র সাধানাও চলতো। কথিত আছে চৈতন্য দেব সন্ন্যাস নেওয়ার পর শচী মা গঙ্গাকে অভিশাপ দেন, তার ফলে গঙ্গা শুকিয়ে যেতে শুরু করে। এবং এই মজে যাওয়া গঙ্গা থেকেই মজিল পুরো।বহুরু থেকে জয় নগর অঞ্চলে বৈষ্ণব প্রভাব থাকলেও এখানে মা উপাসনা ও চলে। মজিলপুরে শুধু ধনতান্তরী কালি নয়। এখানকার ব্রম্ভময়ী তাঁরা মা তেমনই এই মন্দির তাঁর প্রতিষ্ঠার পিছনে আসে আছে ত্রান্ত্রিক সাধানা র ইতিহাস। এই মায়ের সম্পূর্ণ মূর্তিটি  একটি মাত্র গুঁড়ি কেটে তৈরি । তবে আরো আকর্ষণীয় মায়ের রূপ।
মজিলপুর শ্মাশনে তন্ত্রক্রীয়া করতে এসেছিলেন, কালিশঙ্কর ব্রম্ভচারী। তিনি পঞ্চমুন্ডি আসনে সাধনা সিদ্ধ হয়ে এই মায়ের মন্দির টি প্রতিষ্ঠা করেন। অনেক লোককথা প্রচলিত আছে এই মন্দির ঘিরে।কবে প্রতিষ্ঠিত এ মন্দির তা নিয়ে সঠিক কিছু জানা না গেলেও অনুমান সাড়ে তিন শ বছর পুরোনো এই মায়ের পূজা। কালি পূজা ছাড়া অন্নপূর্ণা পূজাতে বিশেষ রূপে দেখা যায় মাকে।
তিন video link দেওয়া হলো দেখতে পাবেন মিথ গল্পগুলো।
https://fb.watch/bgaFTxgfAk/

https://fb.watch/bgaIH83k-4/

https://fb.watch/bgaLmq895D/