জানেন কি জলভরা মিষ্টি তৈরি হয়েছিল কিভাবে?
জামাই ষষ্ঠীতে জামাইকে মিষ্টি খাওয়ানোর রীতি আছে কিন্তু এই জামাই ষষ্ঠীতে বাঙালীকে দিয়ে ছিলো নতুন মিষ্টি।ভদ্রেশ্বরের তেলেনীপাড়ায় বন্দ্যোপাধ্যায়দের জমিদার বাড়ির দাবিতেই এই মিষ্টি প্রথম বানান তালের শাঁস বানান সূর্য মোদক। ১৮১৮ সালে ছিলো। প্রথম জামাইষষ্ঠীতে নতুন জামাইকে ঠকানোই ছিল এটি বানানো হয়। কড়াপাকের সন্দেশের ভিতর গোলাপজল ভরে তৈরী হয় তালশাঁস আকৃতির এই মিষ্টিটি।
বন্ধ্যোপাধ্যায় বাড়িতে যখন জামাইষষ্ঠীর দিন জামাই এলে তাকে খেতে দেওয়া হল এই বিশেষ মিষ্টি। মিষ্টিটা খেতে নিয়ে জামাই যেই তাতে এক কামড় মারলো, তখন মিষ্টির ভিতরে থাকা গোলাপ জল বেরিয়ে এসে তাঁর পাঞ্জাবিতে পরে মাখামাখি হয়ে গেলো, ঠকে গেলো জামাই। বাঙালি জন্য তৈরি হল এক নতুন মিষ্টি।তালের শাঁসের আকৃতির হওয়ায় এই মিষ্টির নাম দেওয়া হল জল ভরা তালশাঁস।
হুগলির সূর্য মোদকের তৈরি জলভরা তালশাঁস মিষ্টি বিখ্যাত হয়ে গেলো। চন্দননগরের জিটিরোডের পাশে সূর্য মোদকের দোকান আজও আছে। এই দোকানের জলভরা তালশাঁসের খুব বিখ্যাত। তবে বাংলার প্রায় সব দোকানেই এই মিষ্টি এখন পাওয়া যায়। সূদুর কনৌজ থেকে জলভরা এই মিষ্টির জন্য প্রধান উপকরন গোলাপজল আনা হতো ।তবে এখন বেশিরভাগ দোকানে গোলাপজলের বদলে চিনির রস দেওয়া হয়। এই মিষ্টির সব বাঙালির কাছেই প্রিয়।
No comments:
Post a Comment