বাংলার সব পূজা উৎসবে কিছু ব্যাতিক্রম ঘটনা দেখা যায়।
যেমন রামকানালী, গঙ্গাজলঘাটিতে লক্ষী পূজাতে পূজা হয় গজলক্ষ্মীর। তবে এই পুজোর প্রচলন হয়েছিল প্রায় ১৪০ বছর আগে। তখন বাঁকুড়ার বেশ কিছু জায়গায় হাতি আক্রমণ করত প্রায়শই, প্রচুর শস্যহানি হতো। তখন তাই গ্রামবাসীরা গজলক্ষ্মীর পূজা করে। এখানে লক্ষ্মীর বাহন রূপে পেঁচা নয় হাতিকে রেখে পুজো করেন। সকলের কাছে তাই তিনি গজলক্ষ্মী।

এদিকে হিন্দু পৌরাণিক গল্প, গজলক্ষ্মী সমুদ্র মন্থনের সময় আবির্ভূত হয়েছিলেন । তিনি ইন্দ্রের হারানো সম্পদ এবং ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করেছিলেন। তিনি দেবীর রূপ যিনি পশু সম্পদ এবং সম্পদের অন্যান্য প্রতীক যা শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে।
তবে সেক্ষেত্রে কিন্তু মূর্তি ফারাক আছে।
দেবীর পায়ের কাছে দুটি সিংহ আছে, আবার দুটি হাতি তাকে জীবনদানকারী জল দিয়ে স্নান করাছে এবং তার বাম এবং ডান পাশে দুটি মহিলা পরিচারক চামর ধরে আছে।
তবে গুপ্ত রাজা বৈষ্ণব ছিলেন এবং দেবী লক্ষ্মীকে সর্বোচ্চ সম্মান করতেন।তাদের শাসনামলে বেশিরভাগ মুদ্রায় দেবী লক্ষ্মী সিংহবাহিনী হিসাবে দেখা যায়।গুপ্ত শাসক প্রকাশ দিয়ার শাসনামলের মুদ্রায় গরুড়ধ্বজা এবং উল্টোদিকে লক্ষ্মী রয়েছে
No comments:
Post a Comment