মন্দির নির্মাণ বাংলার একটি নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে। দেবালয় বা দেউল নির্মাণ একটা গৌরবময় ইতিহাস আছে বাংলা র। পাথর দিয়ে মন্দির তৈরি হলেও বাংলা পোড়া মাটির ইটে তৈরি হয়েছিল বিভিন্ন মন্দির।
হাজার বেশি বছরের পুরনো এই সব দেউল গুলো এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বাংলা র আনাচে কানাচে।লোকে বলে, বর্ধমান নামটি কিন্তু জৈন তীর্থঙ্কর বর্ধমান মহাবীরের নাম থেকেই এসেছে।পূর্ব বর্ধমান আঝাপুর, জৈনদের মন্দির - সাতদেউল নির্মাণ হয়েছিল , আনুমানিক খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দী দিকে । নির্মাণ শৈলী দেখার মতো, রেখ দেউল স্থাপত্য এবং প্রবেশ পথ, অসম্ভব সুন্দর ,করবেল আর্চড, ক্রমবর্ধমান খিলানের মতো।
রাঢ় বাংলার একসময় রাজাদের শাসন ছিলো, জৈন ধর্ম প্রচার প্রসার ছিলো তার প্রমান এটি। বর্ধমান থেকে পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার অম্বিকানগর, বিশাল জায়গা জুড়ে জৈনদের দেখা যায় ।বর্তমানে পশ্চিম বর্ধমানের দামোদর নদের নিকটবর্তী তেলকুপি গ্রাম , তৈলকম্পি বন্দর ছিলো এক সময়।এই সময় অধিকাংশ ধনী ব্যাবসায়ীরা জৈন ধর্ম গ্রহন করেন। তাঁরাই হয়তো এই মন্দির নির্মাণ করেছিলো।
রেলপথে যেতে পারেন এখানে , হাওড়া বর্ধমান কর্ড লাইনের মসাগ্রাম স্টেশনে নেমে যাওয়া যায়। বিকল্প দুর্গাপুর এক্সপ্রেস ওয়ে ধরে এসে পালসিট টোল প্লাজার কাছেই আঝাপুর। NH2(19) থেকে মাত্র ১ কিমি দূরেই এই দেউল, সাইকেল ভ্যান, টোটো যায় এখানে। সাত দেউল নাম হলেও , একটিই দেউল বেঁচে আছে। তাই সময় সুযোগ মতো এই রকম দেউল গুলো ঘুরে আসুন একটু আধটু ভিড় হলে এর গুরুত্ব বুঝে রক্ষা বেক্ষনে যত্নশিল হবে সমাজের প্রভাবশালী মহল।
Lovely
ReplyDelete