Thursday, 10 March 2022

রাজ পুরের দোল মঞ্চ

হুসেন শাহের পুত্র গিয়াসুদ্দিন মহম্মদ শাহের ষোড়শ শতাব্দীতে    রাজপুর সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জমিদারি লাভ করেছিলেন   কৃষ্ণদাস দত্ত। রাজপুরের রাজা মদন রায় ছিলেন এই কৃষ্ণদাসের তৃতীয় পুত্র । তাঁর পৌত্র দুর্গাচরণ রাজবাড়িকে সুরক্ষিত করতে পরিখা  নির্মাণ করেছিলেন। গড়িয়া (গড়+ইয়া) স্থানের নামকরণ এসেছে এখান থেকে। দুর্গাচরণের পুত্র রাজবল্লভ কম্পানির সনদে রায়চৌধুরী  উপাধি লাভ করেন। যদিও ইংরেজদের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আইনের জন্য রাজবল্লভ  তাঁর রাজপুর ও হরিনাভি গ্রাম দুটির জমিদারি হারান। এই দুই গ্রামের নিলামে  হয়ে গেলে #বারুইপুর এর কাছারি বাড়িতে চলে আসেন।  এদিকে ইংরেজদের নিমক মহলের দেওয়ান জনার্দন করের পুত্র দুর্গারাম করচৌধুরি ত রাজপুরে জমিদারির কিনে নেন ।
এই করচৌধুরি বংশ ধর ধর্ম পরায়ন ছিলেন। তবে রায়চৌধুরী রা চলে গেলে ও তাদের স্থাপিত মন্দির গুলো  এখানে  এখনো আছে।তাদের প্রতিষ্ঠিত শিব মন্দির এখনো বর্তমান আছে। আছে রাধাকৃষ্ণ মন্দির । এবং দোল মঞ্চ ও। #রাজপুরের #দোলউৎসব কে অনেক বেশি প্রানবন্ত রঙীন করে তোলে এই দুইশত বছরের বেশি পুরনো মন্দির প্রাঙ্গণ।
#রাজপুরের রাধা কৃষ্ণ, দোল উৎসব অধিবাসীদের কাছে একটি অহংকার।

 আবাক করা বিষয় বহুবছর বছর আগে  এই অঞ্চলের  দুটি মন্দির থেকে ই রাধা কৃষ্ণ বিগ্রহ  চুরি হয়ে গিয়েছিল প্রবাদ- যারা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা হঠাৎই অনুভব করলেন কৃষ্ণ ও রাধার ওজন ক্রমশ বৃদ্ধি দেবতার গা থেকে আগুনের মতো তাপ বিচ্ছুরিত হয়। তখন সেই মূর্তিটি ভূঁড়িরপুকুরেই ফেলে চলে যান৷ ওই ফেলে দেওয়ার সময়েই কোনো কারনে কৃষ্ণের ডানহাতের কড়ে আঙুলটি ভেঙে যায়৷
ঠিক এই ভাবে বর্তমানে বোসেদের পুজিত এই কৃষ্ণ এর ডান হাত টিও ভেঙে গেছে। রাধা মৃতিটি পাওয়া যায়নি।

 রাজপুরের এক সাধারন মধ্যবিত্ত চৌধুরী পরিবার সপ্নাদেশ পেয়ে ভূঁড়িপুকুরের তলা থেকে তা উদ্ধার করেন৷ দুর্গারাম করের যেহেতু মন্দির ও দোলমঞ্চটি পরিতক্ত, ধ্বংসপ্রায় হয়েপড়েছিল সেহেতু স্থানীয় দক্ষিণপাড়ার চৌধুরী পরিবারেই তিনপুরুষ ধরে রাধাকৃষ্ণ বিগ্রহদুটি রয়েছে৷

No comments:

Post a Comment