রাজা নবকৃষ্ণ দেব শোভাবাজার রাজ বাড়ি র ঠাকুরদালানে শ্রীশ্রী গোবিন্দ জিউর বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন ১৭৬৬ খ্রিস্টাব্দে। তখন থেকেই শোভাবাজার রাজবাড়িতে মহা সাড়ম্বরে দোল উৎসব পালিত । দোলের আগের দিন হয় নেড়া পোড়া বা চাঁচর বা বহ্ন্যুৎসব করা হয়। এটাকে আমরা বুড়ি ঘর বললেও এটি শ্রীবিষ্ণুর অসুর দমনের বিজয়োৎসবের প্রতীক। বহ্ন্যুৎসব আসলে হোলিকা দহন, এটাকে আমরা বুড়ি ঘর বললেও এটি শ্রীবিষ্ণুর অসুর দমনের বিজয়োৎসবের প্রতীক। প্রহ্লাদকে বাঁচাতে বিষ্ণুর দ্বারা হোলিকা বধকে উদ্যাপন করা হয় এই উৎসব এর মাধ্যমে।
বৈষ্ণব মতে, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনেরং খেলায় মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সঙ্গে ।শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দজির পুজো, আরতি ও হোমে হয় সন্ধ্যায় , তার পর হোমের জ্বলন্ত কাঠ দিয়ে মন্ত্রোচ্চারণের সঙ্গে বুড়ির ঘরে আগুন ধরানো হয়।
দেবদোল বা নারায়ণের দোলদোলের দিন সকালে হয়। পুজোর পর নারায়ণকে আবির দেওয়া হয়, অভিষেক করা হয়। অভিষেক মানে পবিত্র জল, দূর্বা , মধু , দুধ দিয়ে স্নান করানোকে বোঝানো হয়। দোলনায় দোলানো রাধাগোবিন্দজিকে এরপর হয় । রাধা গোবিন্দজিকে ভোগনিবেদন করা হয় । রাধাগোবিন্দকে আবির দেওয়া হয় ভোগের পর। রাধাগোবিন্দর অভিষেক করা হয় আবার দোলখেলার শেষে। সেবায়েতদের ও ভক্তদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয় বিগ্রহের গায়ের আবির।
এই দোল উৎসব ঘিরে বসন্ত উৎসব এর আয়োজন করা হয় রাজ বাড়ি তে , এবছর ১২/০৩ /২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে এই উৎসব।
Manab Mondal
No comments:
Post a Comment