ধুনো পড়া কি?
ধুনো শব্দের বাংলা অর্থ গন্ধদ্রব্যবিশেষ;যা শালগাছের নির্যাস। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সমকালীন,জনপ্রিয় বনেদি বাড়ির পুজো জলেশ্বরীর পুজো প্রসঙ্গে এলেই ‘ধুনো পোড়া" কথা আসে যায়। এই পুজো ঐতিহ্যে এবং এক বিশেষ আকর্ষণ ‘ধুনো পোড়া’ । ভক্তরা দেবীর কাছে মানত করেন ধুনো দেওয়ার, আর মানত পূরণ হলে দেবীকেধুনো অর্পণ করেন । কৃষ্ণনগরের মালোপাড়ার মা জলেশ্বরীর পূজা তে এই বিশেষ রীতি পালন হয় নবমীর দিনে।
ভক্তদের মানত পূরণ হলে। তাঁরা সরা নিয়ে বসেন মায়ের সামনে।এই সরায় আগুনে দেওয়া হয় ধুনো।
ধুনোর আগুন যত উঁচুতে ওঠে, ততই শুভ বলে মনে করা হয়। প্রতি বছর এই ধুনো পোড়া স্বচক্ষে দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে থেকে কৃষ্ণনগরে ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ।
তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার লোক বা গ্রামীণ সংস্কৃতির অঙ্গ এটা।মনসা পূজা , শীতলা পূজা, গাজন উৎসবে, মোটামুটি ভাবে যারা মানত করেন মানত পুরণ হলে তারা ধুনো পোড়া প্রথা পালন করে মানত পরিশোধ করেন। নীচে টি ছবিটা যেমন ক্ষেত্র সমীক্ষাক সঞ্জয় ঘোষ তুলেছিলেন।নিমপীঠে শীতলা থানে মনসা পূজায় এক মহিলাকে ধুনো পোড়া প্রথা পালন করতে দেখা যাচ্ছে দু হাতে দুটি সরা ও মাথায় একটি মালসা কূল কাটাঁয় আগুন জ্বেলে তাতে ধুনো দিতে থাকেন ব্রাহ্মণ।পুরোহিত বা ব্রাহ্মণ ধুনো পোড়া অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি করছেন একটি মালসা ও দুটি সরায় কূল কাঁটা ছোট ছোটটুকরো করে ভর্তি করেন।
No comments:
Post a Comment