মুসিটগাজির মন্দির বা মুর্শিদতলার মুর্শিদ গাজী সম্পর্ক বিশ্বজিৎ হালদার, মশাই, এবং সঞ্জয় ঘোষ মহাশয় লেখা পড়ে,মাঘ মাসের পয়লা তারিখটি বেরিয়ে পড়লাম মেলার উদ্দেশ্যে।
বারুইপুর কয়েকটি সূর্যপুরের স্টেশন , আরো অন্তত তিন-চার কিলোমিটার ভিতরে শেষে একটা মেঠো রাস্তা পেরিয়ে একটু সামনে এগোলেই ঘুড়ির ভরা আকাশের নিচে মাঠের মাঝে একটা মেলা। এখানে একটা ভিটেতে মুর্শিদতলা। মাঠটির চারিদিক ঘিরে আছে তেউড়হাট, নবগ্রাম, ওলবেড়িয়ার, গোপালপুর গ্রাম।
লোকজন অসংখ্য মূর্তি মাথায় করে আনছে মুর্শিদতলায়।মুর্শিদ -বনবিবি, গাজি সাহেব মূর্তি।
এনাকে বনবিবির ভাই সাজঙ্গলি দেখেছিলেন বিশ্বজিৎ বাবু । যদি সঞ্জয় ঘোষ কথায় এই গাজীর কথা উল্লেখ নেই কোথায়। একে আমি সমর্থন করি কারণ ক্ষেত্র সমীক্ষা সময়, কেউ এই গাজী কোথায় থাকে এসেছেন কেউ বলতে পারলেন না।
বনবিবি-সাজঙ্গলি নিজেরা গাজি বা ধর্মযোদ্ধা এবং দক্ষিণরায়ের সাথে যুদ্ধ হয়। প্রবাদ অনুযায়ী বনবিবি ও দক্ষিণ রায়ের মা নারায়ণীর যুদ্ধ হয়েছিল আর গাজির সাথে দক্ষিণ রায়ের যুদ্ধ হয়েছিল খনিয়ার প্রান্তরে। আসলে ইসলাম ধর্মের প্রচার আটকাতে দক্ষিণ রায় আর বন বিবির যুদ্ধ হয়েছিল। এখন সব মিশে গেছে মানে এটা সুফিবাদের খুব ভালো প্রভাব।মুর্শিদ আরবি শব্দ যার অর্থ পথপ্রদর্শক" বা শিক্ষক, র-শ-দ মূলধাতু থেকে উদ্ভব বিশেষত সুফিবাদে এটাকে আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক হিসেবে বোঝানো হয়।
তবে একটু খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন এখানকার মুর্শিদ-গাজি পশুকুলের দেবতা। তবে তার সাথে মানিক পীরের কোনো সম্পর্ক নেই বোধহয়। গবাদি পশু অসুস্থ হলে, গরুর বাছুর ঠিকমতো দুধ না পেলে লোকেরা মানত করেন তাঁর কাছে। যদিও বর্তমানে মানুষ তাদের অসুখ বিসুখ সাড়া মানত করে। কারণ অন্তত নতুন স্নান ঘাট টি তার প্রমান।
মুর্শিদতলার মুর্শিদেরা বড়ো জাগ্রত। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস আজও প্রতিবছর হাজতের আগের দিন রাতে তাঁদের ‘মা বনবিবি মা’ এখানে আসেন। তখন সারা মাঠ তাঁর গাঁয়ের ছটাই আলোকিত হয়ে যায়। মন্দিরটি আগে মাটির ছিলো। মাটির ঢিবিতে হাজত হতো। যাই হোক, আনুমানিক শতাধিক বছরের এই পুজো । তবে এখন মন্দির টি পাকা।
https://fb.watch/aDKwyv2CqS/
Great
ReplyDeleteজানতাম না, এ মেলার সম্পর্কে
ReplyDelete