সুন্দরবনের নদী,জঙ্গল ও তার জনজীবনে ব্যবহৃত চলিত শব্দাবলি
বাংলাদেশ সুন্দরবনেও প্রচলিত শব্দ
সুন্দরবনের নদী,জঙ্গল ও তার জনজীবনে ব্যবহৃত চলিত শব্দাবলি
*বাংলাদেশ সুন্দরবনেও প্রচলিত শব্দ
জঙ্গল সংক্রান্ত
আইট / আট - জঙ্গলের মধ্যে প্রাচীন বসতির চিহ্নযুক্ত উঁচুভূমি।
আঁচঘর - যেখানে বাঘ বাচ্চা প্রসব ও লালন করে।
আড়া / হেলা - পুরুষ বাঘ।
আড়া - ডাঙা বা উঁচু স্থান (ভিজে আড়া < ভিজেয়াড়া < বিজেয়াড়া)।
ওঁত - আত্মগোপন করে শিকারের জন্য প্রস্তুত অবস্থা।
কস্তুরা - বড়ো ঝিনুক,এই ঝিনুকে সুন্দরবনবাসীরা কাজল তৈরি করে। পুড়িয়ে চুন তৈরির অন্যতম উপাদান।
কঁচা - নিবিড় জঙ্গলপূর্ণ অরণ্যভূমি।
কালাবন/কালকবন - নিবিড় বন।
খাস জঙ্গল - সংরক্ষিত অরণ্য।
খোঁচ - নরম মাটিতে পায়ের ছাপ।
গণ্ডি - মন্ত্রবলে যে স্থান বাঘের থেকে নিরাপদ করা হয়েছে।
গাছাল - গাছে বসে শিকার করা।
*গ্যাড়া/গাড়াল - গন্ডার।
গ্যাঁড়া - গোল শামুক।
চট/চইট - বন্য জন্তুর চলাচলের পথ।
*চাড়া - জঙ্গলের যেখানে বাঘের অত্যাচার আছে।
চোট - বন্দুকের গুলি ছোঁড়া।
জঙ্গল গরম - জঙ্গলে বাঘের উপস্থিতি।
জ্যাংড়া/জোংড়া - ছোট ঝিনুক, চুন তৈরি করা হয়।
জ্যাংড়া/জোংড়া খুঁটা - জঙ্গলে ঝিনুক কুড়ানি।
মাল/মহাল/মায়ের বাগান/ মায়ের খামার - সুন্দরবনের জঙ্গলভূমি।
*টোপ - গর্তে বসে কাঁচা ডালপালায় গর্তের মুখ চাপা দিয়ে আত্মগোপন করে শিকার করা।
*ট্যাঁক/ ঠোটা- দুটি জলরাশির সংযোগ স্থলে সৃষ্ট বদ্বীপের কোণাকৃতি জঙ্গলভূমি বা বাদাবন।
তারকেল - গোসাপ।
পড়া - বাঘের আক্রমণে জঙ্গলে মানুষের মৃত্যু (জঙ্গলে মানুষ পড়েছে)।
পাড়বন্ধ - নোঙর করে রাত্রি যাপনের সময় মন্ত্র পড়ে নৌকোর চারপাশে গণ্ডি দিয়ে রাখা।
পাড়া - বাঘের পায়ের ছাপ।
বড়ো মিঞা/মামা/বাবু/বড়ো শিয়াল/ফকির সাহেব - বাঘ।
বয়ার - সুন্দরবনের জল মহিষ,এখন সম্পূর্ণ অবলুপ্ত।
বাওন - নৌকা বা জলযান থেকে কূলে বা তীরে শিকার করা।
বেড় - জঙ্গলের মধ্যে মানুষকে লক্ষ্য স্থির করে বাঘের চক্রাকারে ঘুরে মানুষের পিছনে আসা।
বেড়ালা/কুপনি - জঙ্গলের মধ্যে প্রাচীন বসতির চিহ্নসহ উঁচু ভূমি।
মাছি - ডাকাত।
*মাঠাল - পায়ে হেঁটে শিকার করা।
মায়া হরিণ - স্ত্রী হরিণ।
মেচি বাঘ - স্ত্রী বাঘ।
রশি - দূরত্ব। দড়ি।
শিঙেল - পুরুষ হরিণ।
সরা - যাওয়া। যাই’ ক্রিয়াপদের মধ্যে অমঙ্গলের ছায়া কল্পনায় জঙ্গলে এর ব্যবহারের বদলে ‘সরা’ শব্দের ব্যবহার হয়।
হুলোর মাথা - দুটি জলরাশির সংযোগস্থলে সৃষ্ট বদ্বীপের কোণাকৃতি আবাসভূমি বা আবাদ জমি। জঙ্গল এলাকার এমন কোণকে ট্যাঁক বলা হয়।
সূত্রঃ সুন্দরবন ও নদীকথা — অনিমেষ সিংহ
সুন্দরবনের জঙ্গল সংক্রান্ত কোন শব্দ বা শব্দাবলি কেউ যুক্ত করলে কৃতজ্ঞ থাকবো
নৌকা সংক্রান্ত
সুন্দরবনে ব্যবহৃত নৌকার রকমফের -
বালাম, গোধা, সুপ, সম্পান, কোঁদা, ছিপ, গুরাব, বজরা, ভড়, মাসুয়া, পাতিলা, কিস্তি, পানসি, ময়ূরপঙ্খি, ডিঙি, ডোঙা, ঘুঘু।
আগাড়ি - সামনে।
আহ্নিক, গলুই - জলযানের সূচালো প্রান্ত।
এরাফ - জলযানের সামনে আহ্নিক থেকে
তলদেশ পর্যন্ত কোণাকৃতি আকার।
কাঁকড়া কাঠ -কাঠের তৈরি নোঙর।
কাড়াল - নৌকোয় মাঝির বসার জায়গা।
কাড়াল দেওয়া - কান্ডারির কাজ করা বা হাল ধরা।
গলুই - নৌকোর সামনের অংশ।
গালায় - নৌকোর পাশে বা ধারে।
গুন - নৌকোয় দড়ি বেঁধে স্রোতের প্রতিকূলে টেনে নিয়ে যাওয়া।
গুন টানা - স্রোতের বিপরীতে বা উজানে নৌকা নিয়ে যাবার জন্য নৌকার মাঝখানে কাঠের লম্বা দণ্ড বা মাস্তুলের শীর্ষ প্রান্তে দড়ি বেঁধে সেই দড়ি নদীর কিনারা দিয়ে টেনে নৌকো বেয়ে নিয়ে যাওয়া।
গুড়া/রো - নৌকোর আড় কাঠ।
গুমতি - নৌকো থেকে জল সেঁচার খালাসি।
গেরাফি - লোহার তৈরি নোঙর।
ঘুঘু - ছোট্ট ডিঙি নৌকো।
*চ’ড়/*চইড়/লগি - নৌকো ঠেলে সরাবার বা অল্প জলে চালিয়ে নিয়ে যাবার জন্য ব্যবহৃত সরু লম্বা লগি বা লাঠি।
চাপান -নৌকো বেঁধে রাখা।
চাপান দেওয়া - নোঙর করা।
চাপান সারা - মন্ত্র দ্বারা নৌকোর চারপাশে গণ্ডি টেনে দেওয়া।
চেলি - নৌকোর পাটাতনের কাঠ।
ছই - নৌকোর উপরের ছাউনি।
ডরা খোপ - নৌকোর মাঝ বরাবর দুটি আড় কাঠের মাঝের খোপ।
ডালি - নৌকোর গালায় বা দু-পাশের উপরিভাগে বেশ পুরু নৌকো সমান লম্বা যে তক্তা লাগানো থাকে।
*ডিঙা - ব্যবসায়ীদের বড়ো নৌকো।
ডিঙি - ছোট ছাউনিহীন নৌকো।
তেকাঠ - তিনটি কাঠের ত্রিকোণাকৃতি ছোট মই। যুগোতে ঝুলিয়ে রাখা যায়।
নবডালি/দাঁড়া - জলযানের আহ্নিক থেকে তলদেশ হয়ে পিছনে পাখা বা প্রপেলার পর্যন্ত লম্বা কাঠ, যা নৌকোর ভারসাম্য রক্ষা করে।
*নল ছেয়/নল ছাও - স্রোতের বিপরীতমুখী টান এড়াবার জন্য নৌকোর কোনাকুনি নদী পার হওয়া।
নায়ে-নৌকোয়।
*পলোয়ার - বড়ো ঢাকাই নৌকো।
পাটাতন - তক্তা দিয়ে নৌকোর উপরিভাগে আচ্ছাদিত অংশ।
পাড়ি/পাউড়ি - পার হওয়া।
*পিঠেম বাতাস - পিছন থেকে প্রবাহিত বাতাস।
পিটেল বোট - বনদপ্তরের পাহারারত বােট।
বাদাম - পাল।
বাঁও - নৌকো চলাচলের জন্য জলের গভীরতা মাপার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত শব্দ। ভূমির সমান্তরালে দুই বাহু ছড়িয়ে দিলে যে দূরত্ব তৈরি হয়, যা প্রায় ছয় ফুট দীর্ঘ। এটাই ১ বাঁওয়ের পরিমাপ।
বাঁক/বাঁক গোছা - নৌকোর ভিতর তলদেশে চেলির আড়াআড়ি দু-পাশে যে কাঠ থাকে।
*বেতনাই - কাঠ বা গোলপাতা বহনোপযোগী বড় নৌকো।
বিড়ে - খড় বা দড়ি দিয়ে গোল করে পাকিয়ে তৈরি করা হয়। তার উপর সাধারণত গোলাকৃতি ভরা কলসি রাখা হয়,যাতে কলসি গড়িয়ে না পড়ে। এছাড়া হেঁতালের শুকনো ও কাঁচা পাতা শক্ত করে বেঁধে তাতে আগুন ধরিয়ে তীব্র ধোঁয়া তৈরি করে মৌলেরা মৌচাক থেকে মৌমাছি তাড়ায়।
বোঠে - বইঠা।
যুগো - (Capstan) জলযানের দু-পাশে নোঙরের কাছি বাঁধার শক্ত খুঁটি।
শিরা - নদীর বুকে স্রোতের প্রধান ধারা।
সারেং - লঞ্চের পরিচালক।
সাঁই - অনেক ডিঙি নৌকোর একসঙ্গে চলা বা আড্ডা।
সাঁইদার - অভিযানের দলপতি।
সাঁড়া - হিসনেতে ঝুলিয়ে রাখা দাঁড় ঢোকানোর গোল দড়ির বিড়ে।
সুগান - যন্ত্রচালিত জলযানের স্টিয়ারিং।
হিসনে – নৌকোর গালায় আড়াআড়ি ঢোকানো কাঠের টুকরো,যার উপর ভর করে বা আটকে দাঁড় টানা হয়।
সূত্রঃ সুন্দরবন ও নদীকথা — অনিমেষ সিংহ
সুন্দরবনের জঙ্গল সংক্রান্ত কোন শব্দ বা শব্দাবলি কেউ যুক্ত করলে কৃতজ্ঞ থাকবো
সুন্দরবনের নদী,জঙ্গল ও তার জনজীবনে ব্যবহৃত চলিত শব্দাবলি
*বাংলাদেশ সুন্দরবনেও প্রচলিত শব্দ
।। পর্ব ২ ।।
নদী সংক্রান্ত
অত্রাযোগ - ঝড় বাদলা।
আউলি - জোয়ার বা ভাটায় পাড়-লাগোয়া উলটো স্রোত।
আগাড়ি - খাঁড়ির শেষ প্রান্ত।
আদানে জোয়ার - অর্ধেক জোয়ার।
আফসানি - ঢেউ।
আবানে খাল – যে খালে অনেকদিন মাছ-কাঁকড়া ধরা হয়নি।
উজান - স্রোতের বিপক্ষে।
একানী/মরাণী খাল - সংকীর্ণ যে খাল জঙ্গলের ভিতর মরে বা শেষ হয়ে গেছে।
এড়ো - আড়াআড়ি।
ওঁসারো - চওড়া।
*কেরেচ - আড়াআড়ি।
কোটাল - পূর্ণিমা বা অমাবস্যার আগের দুদিন এবং শেষ পাঁচ দিন বা ত্রয়োদশী থেকে পঞ্চমী পর্যন্ত জলতলে দ্রুত সর্বাধিক হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে,এই সময়কে কোটাল বলে।
খাল - নদীর তুলনায় অপ্রশস্ত স্বল্প দৈর্ঘ্যের জলপথ।
খাঁড়ি - এক মুখ বন্ধ শাখা বা পাশ খাল।
গণ - কোটাল। অনুকূল নদীপ্রবাহ।
গাঙ - ভাঙন সঙ্কুল স্বল্প দৈর্ঘ্যের নদী।
গুতি খাল - নোনা জলের সরু প্রবাহ।
ঘাল - খালের সরু অংশ।
*ঘাউলা বাতাস / আউল্যা বাতাস - এলোমেলো পাক-খাওয়া বাতাস।
ঘোঘ/ঘোঘা - নোনা নদী বাঁধে কাঁকড়া বা এক ধরনের সাদা পোকার তৈরি যে সরু ছিদ্রপথে জল প্রবাহ পথ করে নেয়।
ঘোলা -নদীর ঘূর্ণিময় অংশ। অতিরিক্ত মাটি,বালি মিশ্রিত অসচ্ছ জল।
চটা খাল - অগভীর খাল।
চাতান/চটক - মরাণীতে শুকিয়ে নোনা ওঠা প্রায় বৃক্ষশূন্য উঁচু জঙ্গলভূমি।
জুলি খাল - যৎসামান্য প্রস্থ ও দৈর্ঘ্যে ছোট কিন্তু গভীর খাল।
জোগার গণ - পূর্ণিমার জোয়ার।
জোল - সরু নালা।
জোয়ার/জো - চাঁদের আকর্ষণে সমুদ্রের জল
স্ফীত হওয়া। দিনে দুবার জোয়ার হয়।
ঝোরা - ধল বা টাট থেকে সার ভাটায় নেমে আসা জলের ধারায় তৈরি হওয়া ছোট্ট খাঁড়ি খাত।
তেদাড়ি - নরম পাঁক।
ত্রিমোহানি - তিনটি বড়ো খালের মিলনস্থল।
দয়/দহ - নদীর ঘোলা বা ঘূর্ণায়মান অংশ।
অতি গভীর ঘূর্ণি সঙ্কুল ছোট্ট নদী। অতি গভীর জলাশয়।
*দোখালা - গাঙ বা খালের যেখানে দু-পাশেই শাখা খাল জঙ্গলে ঢুকে গেছে।
দোয়ানি/দুনে - দুটি বড়ো খালের সংযোগকারী খাল। এর দুই প্রান্ত সাধারণত পূর্ব-পশ্চিমমুখী হয়। এর দুই প্রান্ত দিয়েই জোয়ারে জল ঢোকে এবং ভাটায় জল বেরিয়ে যায়।
দোমা - ঢেউয়ের ঝাপটা।
ধল - বৃক্ষশূন্য নিচু অরণ্যভূমি। কোটালের পূর্ণ জোয়ারে প্লাবিত হয় এবং কেবলমাত্র তখনই ডিঙি নৌকো বাওয়া যায়।
পগার - খাত বা নালা/গভীর গদ বা পাঁক।
পাকনা/ ঘোল/ঘোলা - জলের ঘূর্ণি।
*পাতারি - প্লাবন আটকানোর জন্য ছোট বাঁধ।
পাশ খাল - জঙ্গলে ঢুকে যাওয়া ছোট খাল অথবা শাখা খাল।
ফোড়ন – স্বল্প দৈর্ঘ্যের সরু খাল,কোটালের ভরা জোয়ারেই কেবলমাত্র জঙ্গল ভেদ করে বা ফুঁড়ে অপর প্রান্তে যাওয়া যায়।
বকচর/*কোলা- নদীর বা খালের কূলে প্রশস্ত স্থান,যেখানে বক পাখিরা মাছ-কাঁকড়া খুঁটে খায়।
*বাওটা- জলে ডুবন্ত মানুষের হাত নেড়ে বিপদসংকেত জানানো।
বে গণ - মরাণী/প্রতিকূল নদীপ্রবাহ (Against current)।
ভরণা - পূর্ণ জোয়ারের স্থিতিশীল অবস্থা।
ভরাণী - অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় চাঁদ ও সূর্য পৃথিবীর সঙ্গে একই সরলরেখায় অবস্থান করে। এ সময় এদের মিলিত আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি,ফলে জোয়ার ও ভাটা দুটিই শক্তিশালী হয়।
ভাটা - চাঁদের আকর্ষণে সমুদ্রের বিপরীত প্রান্তের জল স্ফীত হওয়ায় অন্য প্রান্তের জল সরে যাওয়া বা জলস্ফীতি হ্রাস হওয়াকে ভাটা বলে। দিনে দু-বার ভাটা হয়।
*ভাটিগার গণ - অমাবস্যার জোয়ার।
ভারাণী - উত্তর-দক্ষিণমুখী দুটি বড়ো নদীর সংযোগকারী খাল। এই খালের এক প্রান্ত একটি নদীর দক্ষিণ দিক থেকে শুরু করে সমান্তরাল অন্য নদীটির উত্তরদিকে আড়াআড়ি গিয়ে যুক্ত হয়। এর যেদিক থেকে জোয়ারের জল ঢোকে,সেদিক দিয়েই ভাটায় জল বেরিয়ে যায়।
মেলা - খালের চওড়া অংশ।
মরাণী - চাঁদ ও সূর্য পৃথিবীর দু-পাশে এক সমকোণ থেকে আকর্ষণ করে,ফলে ষষ্ঠী তিথি থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত সাত দিন ধীরে ধীরে জলতলে সর্বনিম্ন হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে, এই সময়কে মরাণী বলে।
মুলম খাল - শাখা-উপশাখার জনক যে মূল খাল।
টাট - পলি জমে যে খাঁড়ির তলদেশ উঁচু হয়ে জঙ্গলভূমির প্রায় সমান হয়ে গেছে এবং কেবলমাত্র কোটালের পূর্ণ জোয়ারেই যে খাঁড়িতে ডিঙি নৌকা বাওয়া যায়।
মাগনা জোয়ার - ট্র্যাক বা ভাঙনের মুখে যেখানে স্বাভাবিক প্রবাহ বাধা পেয়ে স্রোত উলটো খাতমুখী। স্রোতের উলটোদিকে নৌকা যেতে হলে মাঝি এ খাতই খুঁজে নেয়।
শীষে - গভীর জঙ্গলে ঢুকে যাওয়া সরু খাঁড়ির মজে-যাওয়া শীর্ষ প্রান্ত।
ষাঁড়া - শিব।
ষাঁড়ি - দূর্গা।
যাঁড়াষাঁড়ির গণ - বছরে দু-বার আসে,আশ্বিন ও চৈত্র মাসের কোটালে।
সুজন/সুজান - স্রোতের পক্ষে।
সারভাটা -ভাটায় জল সরে যাওয়ার শেষ মুহূর্তকে বা জোয়ার শুরুর প্রাক্-মুহূর্তকে সার ভাঁটা বলে।
সারেং - পলি জমে যে খাঁড়ির তলদেশ উঁচু হয়ে জঙ্গলভূমির প্রায় সমান হয়ে গেছে এবং যেখানে মাটির উর্বরতার কারণে গাছের ঘনত্ব ও দৈর্ঘ্য স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, ঘন পাতার রং কালচে সবুজ এমন এলাকাকে সারেং বলে। / জলযানের চালক।
সুঁসি মারা/সঁসা মারা - জলের অল্প গভীরে ডুবে থেকে দ্রুত সোজা যাওয়া।
হাসি খাল - সরু খাল।
হোড় - গদ বা পাঁক।
সূত্রঃ সুন্দরবন ও নদীকথা — অনিমেষ সিংহ
সুন্দরবনের জঙ্গল সংক্রান্ত কোন শব্দ বা শব্দাবলি কেউ যুক্ত করলে কৃতজ্ঞ থাকবো
Nice
ReplyDelete